শ্রম দপ্তরে এক করণিকের বিরুদ্ধে অর্থ লুঠের অভিযোগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সুশাসনে আর্থিক দুর্নীতি জাঁকিয়ে বসেছে। সরকারী এবং সরকার অধিগৃহীত বিভিন্ন দপ্তরে যেন অর্থ লুঠের হিড়িক পড়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সম্প্রতি রাজ্য শ্রম দপ্তরে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রঞ্জন নামে এক এলডিসির বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগরতলা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়,তাকে ইতিমধ্যে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। পশ্চিম থানার পুলিশও এফআইআর করার কথা স্বীকার করেছে।পুলিশ পুরো বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখছে বলে খবর। জানা গেছে, শ্রম দপ্তরের অধীন অসংগঠিত শ্রমিক সহায়ক প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সম্প্রতি দপ্তরের এক আধিকারিকের নজরে আসে। এরপরই দপ্তর নড়েচড়ে বসে এবং তদন্ত শুরু করে। তদন্তে দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই অভিযুক্ত এলডিসিকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয় দপ্তরের পক্ষ থেকে। দপ্তর সূত্রে খবর, গত তিন বছর ধরে এই দুর্নীতি চলছে। অসংগঠিত শ্রমিক সহায়ক প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের তালিকায় ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে পাঁচটি অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হতো বলে অভিযোগ।বিষয়টি প্রথম নজরে আসে স্যাংশন মেমো থেকে। ওই স্যাংশন মেমোতে দেখা যায় দুই রকম টাকার পরিমাণ। সন্দেহ হতেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসে। দপ্তর সূত্রে খবর এবং অভিযোগ, লিপিকা নামে এক দিদিমনি অ্যাকাউটেন্ট থাকাকালীন সময় থেকেই এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে। গত এক বছর হয়েছে তিনি প্রমোশন পেয়ে ও এস হয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন ধরে দুর্নীতি চলতে থাকলেও কারোর নজরে আসেনি কেন? এই নিয়েই এখন শ্রম দপ্তরে তীব্র গুঞ্জন চলছে।
শুধু শ্রম দপ্তরেই নয়, খবর পাওয়া গেছে রাজ্যের ঐতিহ্যময় সংস্থা ত্রিপুরা ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যান্টেশন কর্পোরেশন বর্তমানে দুর্নীতির ভারে ডুবতে বসেছে। এক সময় এই সংস্থা একটি লাভজনক সংস্থা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিল। সেই সংস্থাটি গত দুই-তিন বছর ধরে কিছু অসাধু এবং দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার কর্মচারীর দৌলতে ডুবন্ত তরীতে পরিণত হয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, শাসক দলের নাম দিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে টিএফডিপিসি-কে কেন্দ্র করে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি টাকার রাবার কাঠের বোর্ড এবং লগ বিক্রি করে লুঠ বাণিজ্য চলছে। অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটের সাথে সরাসরি যুক্ত সংস্থার কিছু অফিসার কর্মচারী। শুধু তাই নয়, নাগিছড়াস্থিত রাবার কাঠের ফ্যাক্টরীতেও ব্যাপক দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ। আরও বড় অভিযোগ হচ্ছে, সিন্ডিকেটের কুশীলবরা দপ্তরের অর্থ অগ্রিম হিসাবে তুলে পুরো বছর নিজেদের ব্যবসায় এবং চড়া দামে সুদে খাটিয়ে অর্থ উপার্জন করছে বলে অভিযোগ। মার্চ মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে অগ্রিম তোলা অর্থ আবার জমা করে দিচ্ছে। সম্প্রতি ২৬ লক্ষ টাকার একটি দুর্নীতির তথ্য সহ আরও একাধিক দুর্নীতির তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। শুধু তাই নয়, কারা কারা এসব অনিয়মের সাথে যুক্ত রয়েছে, সব তথ্যই আমাদের হাতে এসেছে। রাজ্যবাসীর স্বার্থে প্রয়োজনে সব তথ্যই আমরা প্রকাশ করবো।