অনলাইনে নেশাখোরদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে সিরিঞ্জ!!

 অনলাইনে নেশাখোরদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে সিরিঞ্জ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-কোন ওষুধ দোকান মারফত নয়।অনলাইনের মাধ্যমেই সোনামুড়ার নেশাখোর যুবকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সিরিঞ্জ। রবিবার সোনামুড়া মহকুমাভিত্তিক ওষুধ ব্যবসায়ীদের সম্মেলন শেষে গত আটাশ তারিখ দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথাই জানিয়েছেন ত্রিপুরা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সোনামুড়া মহকুমার প্রাক্তন সভাপতি তথা ওষুধ ব্যবসায়ী স্বপন চক্রবর্তী। এই সম্মেলনের সাথে সাথেই সোনামুড়া মহকুমায় বিলীন হয়ে গেলো ত্রিপুরা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। মহকুমার ওষুধ ব্যবসায়ীদের সর্বসম্মতির ভিত্তিতে এর বদলে আত্মপ্রকাশ করলো সোনামুড়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। আগামীদিনে প্রতিটি মহকুমায় গঠিত হবে এ ধরনের স্বতন্ত্র সংগঠন। ১৬৪ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে গঠিত হয়েছে পনেরোজনের নতুন নামের নতুন কমিটি। পরবর্তী সময় গঠিত কমিটির মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে পদাধিকারীদের।
সোনামুড়ার স্থানীয় একটি বেসরকারী হোটেলে আয়োজিত এই সম্মেলনের দাবিসনদে প্রাধান্য পেয়েছে মেলাঘর হাসপাতালকে জেলা হাসপাতাল ও সোনামুড়া হাসপাতালকে মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত করা। কাঁঠালিয়া, ধনপুর বক্সনগর, মতিনগর, তৈবান্দাল ইত্যাদি হাসপাতালগুলিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রদান। অনলাইন ওষুধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে সরবরাহকৃত ওষুধের গুণমান যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনীয় যাবতীয় সিরিঞ্জ হাসপাতালগুলির মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। স্বপন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে ত্রিপুরা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়েছে একাংশ স্বার্থান্বেষী নেতাদের কারণে। কারণ আগরতলার এই নেতারা নিজেদের স্বাথে ব্যবহার করে আসছিল টিসিডিএকে। তাই বাধ্য হয়েই স্বতন্ত্র এই সংগঠন গড় ছিল সময়ের দাবি। আগামীদিনে সরকারী রেজিস্ট্রেশন বের করা হবে নতুন আত্মপ্রকাশিত হওয়া এই সংগঠনটির।
গত আটাশ তারিখ দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হয়েছিল নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির অভাবে অনায়াসেই স্থানীয় নেশাসক্তদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ইনসুলিন প্রদানকারী সিরিঞ্জ সহ বিভিন্ন সিরিঞ্জ। আর এই সিরিঞ্জগুলিকে ব্যবহার করে কীভাবে গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা সহ বিভিন্ন নেশার ইঞ্জেকশন শিরাপথে শরীরে পুশ করে নেশায় বুঁদ হচ্ছে নেশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হওয়া সোনামুড়ার যুব সমাজের একাংশ। সোনামুড়ার বিভিন্ন রাস্তা ও গলিপথের ধারে এখন শুধু নেশার কাজে ব্যবহৃত খালি সিরিঞ্জের ছড়াছড়ি এক্ষেত্রে স্বপন চক্রবর্তী সহ স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের ব্যাখ্যা, ওষুধ দোকানগুলিতে সিরিঞ্জ বিক্রির ক্ষেত্রে নানা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেমন একটি ইনসুলিনের ক্ষেত্রে মাত্র পাঁচটি সিরিঞ্জই বিক্রি করা যায়। কার কাছে কতগুলো সিরিঞ্জ বিক্রি করা হচ্ছে এর হিসাবও রাখতে হচ্ছে। এর বাইরে রয়েছে ড্রাগ ইনস্পেক্টরদের তীক্ষ্ণ নজরদারি।তাই কোনওভাবেই ওষুধ দোকান মারফত নেশাখোরদের হাতে এই সিরিঞ্জ যাচ্ছে না। তাদের দাবি, তা যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণহীন অনলাইনের মাধ্যমে। সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক কান্তিলাল দেব.প্রাক্তন মহকুমা সম্পাদক সমীর দাস প্রমুখ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.