দেড় দশকের আইনি লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টে জয় পেলেন ঠিকাদার।।

 দেড় দশকের আইনি লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টে জয় পেলেন ঠিকাদার।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-টানা ১৫ বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টে জয় পেলেন পরিবহণ ঠিকাদার শ্রীমতী নমিতা পাল। তাঁর বিরুদ্ধে এফসিআই সুপ্রিম কোর্টে দুই দুইবার রিভিউ পিটিশন করে এই সময়ে। ‘সুপ্রিম কোর্ট এফসিআইয়ের দুটি পিটিশনই খারিজ করে দিয়ে ‘তুচ্ছ মামলা’ দায়ের করার জরিমানা হিসাবে পিটিশন প্রতি ৫০-হাজার টাকা ধার্য করে এবং ঠিকাদারের জমাকৃত বায়নামূল সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার রায় দেন।
২০১০-১১ সালে এফসিআই-এর উত্তর পূর্বাঞ্চলের রিজিয়ন অফিসের একাধিক পরিবহণের বরাত নিয়ে শ্রীমতী পাল সাফল্যের সঙ্গে কাজ সমাধান করেন। কিন্তু এফসিআই
কর্তৃপক্ষ তার নিরাপত্তা আমানত ও বায়না মূল্যের টাকা আটকে দেয়। এর পরই শুরু হয় আইনি লড়াই। শ্রীমতী পালের নিরাপত্তা আমানত ও বায়না মূল্য মিলিয়ে এফসিআইয়ের আটককৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮৪৩ টাকা। প্রসঙ্গত, শ্রীমতী পাল ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে এফসিআইয়ের খাদ্যশস্য পরিবহণের কাজ করে আসছিলেন। এই ঘটনায় প্রশাসনিকভাবে কোনও সমাধান না পেয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা আদালতে বিচার চান। আদালত তার আবেদনের পক্ষে রায় দিয়ে এফসিআইকে আটক অর্থরাশি ৬ শতাংশ সুদসহ পরিশোধের নির্দেশ দেন।কিন্তু এফসিআই এই রায় চ্যালেঞ্জ করে ত্রিপুরা হাইকোর্টে যায়। হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর এফসিআইয়ের দুটি আবেদন (আরএফএ ২৫/২০২২ এবং আর এফ এ ২৬/২০২২ খারিজ হয়। উচ্চ আদালতে ৪৫ দিনের মধ্যে ঠিকাদার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এবার এফসিআইয়ের ডিভিশনাল ম্যানেজার এবং জেনারেল ম্যানেজার আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টে (কেস নং এসপিএল (সি) ২৭৪৯-২৭৪-২০-২৭৪২০/২০২৩)।
২০২৪-এর চার জানুয়ারি তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এফসিআইয়ের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। কিন্তু এফসিআই নাছোড়বান্দা হয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের প্রদত্ত রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে।সেগুলিও সে বছর ১০ জুলাই তারিখে খারিজ হয়ে যায়। আবারও এফসিআই বিস্ময়করভাবে সুপ্রিম কোর্টে যায় এবং সুপ্রিম কোর্ট পুরোপুরিভাবে ৯ ডিসেম্বর লিভ পিটিশন খারিজ করে আদালতের সময় নষ্ট করার দায়ে জরিমানা ধার্য করে দেয়। এফসিআইয়ের উপর চরম অসন্তুষ্ট সর্বোচ্চ আদালত তাদের দুটি আবেদনের প্রতিটির জন্য ৫০,০০০ টাকা করে দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। বরিষ্ঠ আইনজীবী রাজীব শর্মার মতে, আমলাদের অকর্মণ্যতা এবং ক্ষুদ্র স্বার্থ কীভাবে একজন সং ঠিকাদারকে হেনস্তা করেছে তার একটি ধ্রুপদী উদাহরণ এই মামলা। আইনি ব্যবস্থার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি শক্ত বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.