ফের মূর্তি ভাঙার ঘটনা, ধৃত ১ দোল উৎসবে ঢিল বাংলাদেশে।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশে আবার
মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা।
এবার নোয়াখালির লক্ষ্মীপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শ্রীশ্রী মহামায়া মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে বলে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা জানান।বিশ্বনাথ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মন্দিরের পুরোহিত চলে যান। পরে রাতে এসে মন্দিরের ভেতর ভাঙা প্রতিমা পড়ে থাকতে দেখেন। মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মুখে রুমাল বাঁধা এক যুবক মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভেঙে চলে যায়। এ ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা বাদী হয়ে জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন। বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও জেলা পূজা
উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা বলেন, যারাই প্রতিমা ভাঙচুরের সাথে জড়িত তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এ ঘটনা নিয়ে যখন সারা দেশে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ এবং পুলিশের তৎপরতা চলছে ঠিক তখন শুক্রবার ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত যুবককে পুলিশে দিয়েছে তার বাবা। শুক্রবার রাতে উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের মালের বাড়ি বাগান থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান, লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) জামিলুল হক। মন্দিরের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জাকিরকে শনাক্ত করে পুলিশ।প্রতিমা ভাঙার আসামি জাকিরের বাবা মণির আহমেদ বলেন, আমার ছেলে ২০১৮ থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছে।তাকে কিছুদিন চিকিৎসা করিয়েছি। পরে টাকার জন্য আর পারিনি। সে একটি মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভেঙেছে। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরে ছেলের জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশের কাছ খেকে শুনেছেন তিনি। এদিকে চাঁদপুরে দোল উৎসব চলার সময়ে দুষ্কৃতীরা মন্দিরে ঢিল ছুড়লে এক মহিলা আহত হন। ঘটনা শুক্রবার রাত নয়টা নাগাদ রথবাজার এলাকায় জগন্নাথ দেব মন্দির চত্বরে। আহতের নাম বীথি রাণী (৩০) ।মন্দিরটির ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সদস্য ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, রাত ৯ টার দিকে মন্দির চত্বরে ভক্তরা গায়ে রং মেখে দোল উৎসব উদ্যাপন করছিলেন। এ সময়ে কয়েকজন সেখানে ইটপাটকেল ছুঁড়ে গণ্ডগোল পাকাতে চেষ্টা করে। এতে ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করেন। অনেকেই ভয়ে মন্দিরের ভেতর ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে ঢিলের ঘাতে বীথি আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারী হাসপাতালে নেওয়া হয়। ধর্মীয় উৎসব চলাকালে এভাবে ঢিল মেরে ভক্তদের আহত করার ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন ব্যবস্থাপনা কমিটির স৬ভাপতি শংকর রাও নাগ। তিনি বলেন, এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে কারা ঢিল মেরেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষী লোকদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।