ককবরক ভাষার প্রশ্নপত্র বাংলা হরফে, প্রতিবাদে সরব প্রদ্যোত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আবারও সিবিএসসি পরিচালিত দশমমানের ককবরক ভাষা পরীক্ষায় বঞ্চিত হলেন রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা।সোমবার অনুষ্ঠিত দশম শ্রেণীর ককবরক ভাষা পরীক্ষায় রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা উত্তরপত্র লিখতে পারলেন না। এর মূলে শিক্ষা দপ্তরের ব্যর্থতা। এ বছরও বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের ককবরক ভাষা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করা হয়েছে বাংলা হরফে। ফলে ককবরক পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের।রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের এই দায়সারা মনোভাবের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।
সোমবার প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, এক বছর আগে ককবরক ভাষা পরীক্ষা ঘিরে আমাদের চুক্তি রাজ্য
সরকারের সাথে হয়েছে।এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, যাতে রাজ্যের ককবরক ভাষা বিষয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার সমাধান হয়। রাজ্য সরকারের সাথে চুক্তির মূল শর্ত ছিল, যাদি বোর্ডের পরীক্ষায় ককবরক ভাষা বিষয়ের প্রশ্নপত্র বাংলাতে হয়। এক্ষেত্রে ককবরক ভাষা বিষয়ের পরীক্ষার্থীরা ইংরেজিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন। তবে পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখতে পড়ুয়াদের সাহায্য করবেন পরীক্ষার হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক শিক্ষিকারা। যেসব পরীক্ষার্থী বাংলা বিষয়ে পঠনপাঠনে ব্যর্থ। তাদের বাংলা মাধ্যমে তৈরি ককবরক ভাষা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিবেন শিক্ষক, শিক্ষিকারা। যাতে ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজি ভাষাতে উত্তরপত্র লিখতে পারেন।তবে এদিনের ককবরক পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের একজন শিক্ষক, শিক্ষিকাও সাহায্য করলেন না।ফলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ককবরক ভাষা পরীক্ষার উত্তরপত্র সম্পূর্ণ খালি রেখে দিলেন।ফলে তাদের এই পরীক্ষার ভবিষ্যৎ একপ্রকার অনিশ্চিত।
এক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।কারণ এক বছর হলেও রাজ্য সরকারের সাথে যে চুক্তি হলো। এ বিষয়ে শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকারা কিছুই জানেন না। ককবরক ভাষা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা বাধ্যতামূলক বলেও কোন নির্দেশিকা শিক্ষা দপ্তরের নেই। ফলে অধিকাংশ শিক্ষক, শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যে এগিয়ে যাননি। যদিও একাংশ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা আবার ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যও করছেন। ফলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার নিরসন হয়েছে।এদিকে ছাত্রছাত্রীদের এই সমস্যার বিষয়টি নজরে আসার পরই ক্ষুব্ধ প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে আরও বলেন, এভাবে আমাদের চুক্তির শর্ত মানা হবে না। আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো। এসব চলবে না। এর প্রতিবাদ রাজ্যব্যাপী হবে। এমনকী রাজ্য বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনেও তা তোলে ধরা হবে। যেসব ছাত্রছাত্রী আজ উত্তরপত্র লিখতে ব্যর্থ হলেন, তাদের স্বার্থে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যাদের জন্যে ছাত্রছাত্রীরা বিপাকে পড়লেন একজনকেও ছাড়া হবে না। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথেও তার বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের ১২৫টি স্কুলের দশমমানের
পরীক্ষা নিয়ে এই সমস্যা হয়েছে।