ছুটির দিনে ক্রেতার ঢল বাজারে,চৈত্র মেলা আগামী বছর থেকে শিশু উদ্যানে: মেয়র!!

 ছুটির দিনে ক্রেতার ঢল বাজারে,চৈত্র মেলা আগামী বছর থেকে শিশু উদ্যানে: মেয়র!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-শহরে সূর্যের প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যেও চৈত্রের শেষ ‘সময়ে রিডাকশন সেল মেলা তথা বাজার ক্রেতার ভিড়ে জমে উঠেছে। আজ রবিবার ছিল ৩০ চৈত্র। আগামী কাল সোমবার ৩১ চৈত্র। রিডাকশন সেল বাজারে এবারকার মতো সমাপ্তির দিন। প্রতি বছর চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তারপর পুরো চৈত্র মাস শহরের শকুন্তলা রোডকে কেন্দ্র করে ১৫ দিন জন্য চৈত্রের রিডাকশন সেল বাজার গড়ে উঠে। শকুন্তলা রোডে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় রিডাকশন সেল বাজারের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে বাজার বসছে পোস্ট অফিস চৌমুহনী থেকে সূর্যচৌমুহনী হয়ে কামান চৌমুহনী।এদিকে আবার আরএমএস থেকে ওরিয়েন্ট চৌমুহনী হয়ে জ্যাকশন গেট পর্যন্তও বাজার বসছে। রবীন্দ্র ভবন যাওয়ায় রাস্তায়ও বিক্রেতারা রিডাকশন বাজার নিয়ে বসছে। শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা ধরে রিডাকশন সেল বাজার বসায় রাস্তা আটকে যাচ্ছে। শকুন্তলা রোড তো পুরোটা চৈত্রের ১৫ দিন যানবাহন যাতায়াত বন্ধ থাকে।তাতে সংলগ্ন অন্যরাস্তাগুলিও রিডাকশন সেল বাজারের জন্য প্রায় ১৫ দিন এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় উপক্রম হয়। ফলে রাস্তাগুলিতে দিনভর ও রাত পর্যন্ত প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে।বেহাল ট্রাফিক জ্যামের জন্য স্মার্টসিটি- শহরে প্রধান রাস্তাগুলিতে যানবাহন যাতায়াত করা কঠিন হয়ে দাঁড়ানোর প্রতিবারই মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠে।এবারও সেই কারণে রাস্তাগুলি দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সকল কেই। স্মার্টসিটি শহরের রাস্তা বন্ধ করে কেন রিডাকশন বাজার বসছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহল পুর নিগম ও স্মার্টসিটি অথরিটির ভূমিকায় বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। আর সেই কারণে আগামী বছর থেকে চৈত্রের রিডাকশন সেল মেলা তথা বাজার শকুন্তলা রোড ও সংলগ্ন রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে। রবিবার আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার জানান, আগামী বছর থেকে রিডাকশন সেল মেলা তথা বাজার আর এখানে বসবে না। বড় একটা এলাকাজুড়ে যাতে রিডাকশন সেল বাজার বসতে পারে কাছাকাছি সেই জায়গা খোঁজা হচ্ছে। মেয়র দীপক মজুমদার আরও জানান, শিশু উদ্যানে চৈত্রের রিডাকশন বাজার সরিয়ে নিলে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেরই সুবিধা হবে। তাতে আর শহরের প্রধান প্রধান রাস্তাগুলিতে সেই ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হবে না। রাস্ত বন্ধ থাকবে না। মানুষ স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারবেন। মেয়র দীপক মজুমদার আরও জানান, শিশু উদ্যানে চৈত্রের রিডাকশন সেল বাজার চালু হলে আরও অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চৈত্রের বাজার নিয়ে বসার সুযোগ পাবেন। আগরতলা পুর নিগম শিশু উদ্যানে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা শৌচালয়ের ব্যবস্থা, আলোর ব্যবস্থা ইত্যাদি সব করে দেবে বলেও মেয়র জানান এদিকে রবিবার দুপুরের দিকে মেয়র শ্রীমজুমদার চৈত্রের রিডাকশন সেল বাজারে আসেন। সঙ্গে আসেন পুর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর রত্না দত্ত। মেয়র শ্রী মজুমদার রিডাকশন সেল বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা বিক্রেতাদের শুভেচ্ছ জানিয়ে তাদের হাতে ফল, মিষ্টির পেকেট ও পানীয় জলের বোতল তুলে দেন রিডাকশন বাজারটি পুর ২০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পড়ায় ওয়ার্ডের তরফে ফল মিষ্টি ও পানীয় জলের বোতল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ওয়ার্ড কর্পোরেটর রত্ন দত্ত ও বিতরণে অংশ নেন। মেয়র জানান, এবার ৫০০ র বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা বিক্রেতা রিডাকশন সেল সেল বা বাজারে ব্যবসা করার সুযোগ পান। বিনা পয়সায় কোনও ফিস ছাড়া এই রিডাকশন বাজারে ব্যবসা করার সুযোগ পান জায়গার অভাবে সকলকে ব্যবসা করার টোকেন না দিতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন মেয়র। আগামী বছর শিশু উদ্যানে সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে, বিক্রেতাকে সুযোগ যাতে দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। মেয়র এ দিন রিডাকশন বাজারের সকল বিক্রেতার সঙ্গে মিলিত হয়ে কথা বলেন ও মত বিনিময় করেন। মেয়র জানান ব্যবসায়ীরা মেয়রকে জানিয়েছেন ব্যবসা ভালো হয়েছে এদিকে চৈত্রের শেষ দিন সোমবার। তার আগের দিন রবিবার ছিল সরকারী ছুটি দিন। দিনভর ক্রেতার ভিড় কিছুটা থাকলেও সূর্য ডুবে যাওয়ার পর তাপদা কিছুটা কমতেই রিডাকশন বাজারে সন্ধ্যা থেকে ক্রেতার প্রচণ্ড ভিড় দেখা দেয় বেচা কেনা চলে রাত ১০ টা সাড়ে দশটার পরও।গত ক’দিন ধরে অবশ্য ক্রেতা ভিড় তেমন না থাকলেও চৈত্রের শেষ দু’দিনে ভিড় দেখে বিক্রেতার মধ্যে স্বতি ফিরে আসে।গত ক’দিন ধরে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিক্রয় করার জন্য অনেক রকম জিনিসপত্র নিয়ে বসলেও একাংশ ব্যবসায়ী সেই ভাবে ক্রেতার অভাবে বিক্রয় করতে পারেননি। বহু গরিব ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দূরদূরান্ত থেকে এসে দু’পয়সা লাভের জন্য রিডাকশন বাজারে নানা জিনিসপত্র বিক্রি করার জন্য। ক্রেতাদের মধ্যে একাংশ ক্রেতাই রয়েছেন গ্রামীণ এলাকার মানুষ। রিডাকশন বাজারে এমন কোনও জিনিস নেই যে পাওয়া যায় না। বিক্রির জন্য সব ধরনের জিনিসপত্র রয়েছে। বহু গরিব মহিলা ও জিনিসপত্র নিয়ে বসেছেন বিক্রির মধ্য। শৌচালয় না থাকায় মহিলাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। বহু শিক্ষিত বেকারও জিনিসপত্র নিয়ে বসেছেন দু’পয়সা কামানোর জন্য।অনলাইনের যুগে বাড়িতে বসে জিনিসপত্র বুকিং করে আনার সুবিধা থাকায় তাতেও কিছুটা রিডাকশন বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে বিক্রেতারা স্বীকার করেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.