পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঢেলে সাজানো হচ্ছে, ১৪৭.১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১২টি মোটরস্ট্যান্ড: সুশান্ত!!

 পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঢেলে সাজানো হচ্ছে, ১৪৭.১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১২টি মোটরস্ট্যান্ড: সুশান্ত!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে বিশেষ উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে পরিবহণ দপ্তর। গড়ে তোলা হচ্ছে বারোটি সর্বসুবিধাযুক্ত অত্যাধুনিক মোটরস্ট্যান্ড। ইতিমধ্যে ১২৭.১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি সর্বসুবিধাযুক্ত অত্যাধুনিক মোটরস্ট্যান্ড নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। যার মধ্যে সর্বাধিক ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে বাজারবাগ বাস পোর্ট। ব্যয় হবে ৪৬ কোটি টাকা। ৪২.৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সাব্রুম ইন্টারস্টেট বাস টার্মিনাল,১৩.২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জিরানীয়া মোটরস্ট্যান্ড।তাছাড়া ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মেলাঘর মোটরস্ট্যান্ড, গণ্ডা তুইসা মোটরস্ট্যান্ড, শান্তিরবাজার মোটরস্ট্যান্ড, জোলাইবাড়ি মোটরস্ট্যান্ড, মনুঘাট মোটরস্ট্যান্ড।বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের উত্তরে বিধানসভায় এ তথ্য জানান, পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও জানান পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করে যতনবাড়ী মোটরস্ট্যান্ড, কল্যাণপুর মোটরস্ট্যান্ড, বিশালগড় মোটরস্ট্যান্ড ও সিধাই মোহনপুর মোটরস্ট্যান্ড গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।এগুলিও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাবতীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ করে নির্মাণকাজ শুরু করতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবহণ দপ্তর। শ্রীচৌধুরী জানান, বারোটি মোটরস্ট্যান্ড নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১৪৭.১৯ কোটি টাকা।অপরদিকে বিধায়ক মাইলাফু মগের এক প্রশ্নের উত্তরে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, পর্যটনকে সমগ্র রাজ্যে জীবনজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি জানান, দক্ষিণ ত্রিপুরায় অবস্থিত মনু বিধানসভার অন্তর্গত মহামুনি বৌদ্ধ মন্দিরের উন্নয়নে পর্যটন দপ্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সাব্রুমের বনকুলস্থিত মহামুনি বৌদ্ধ মন্দির, মহামুনি পেগোডা, ধম্মদীপা ইন্টারন্যাশনাল বৌদ্ধিস্ট ইউনিভার্সিটি, ধম্মদীপা স্কুল, শাক্যমুনি ওয়ার্ল্ড পিস পেগোডা ইত্যাদি বৌদ্ধস্থাপনা এবং লুধুয়া চা বাগানকে নিয়ে একটি বৌদ্ধ সার্কিট গড়ে তোলা।
বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার এবং বিধায়ক স্বপ্না দাস পালের অন্য দুটি পৃথক প্রশ্নের উত্তরে পর্যটনমন্ত্রী জানান, রাজনগর বিধানসভার অন্তর্গত চোত্তাখলা মৈত্রী পার্কটি পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে পর্যটন দপ্তর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি জানান, ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক কর্তৃক স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের মাধ্যমে ভারত বাংলা মৈত্রী উদ্যান পর্যটন কেন্দ্রটির উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.