প্রশ্নের মুখে বৈধ সীমান্ত বাণিজ্য, আমদানির তুলনায় রপ্তানি নামমাত্র, পরিস্থিতি চিন্তাজনক!!
উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় কাজে লাগানো হচ্ছে ডম্বুরের জল-মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ডম্বুর জলাশয়কে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎ দপ্তরের যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি রয়েছে তা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ন্যূনতম ২০.৯৮ কোটি লিটার জলের প্রয়োজন।শুখা মরশুমে দুই মাস প্রয়োজনের তুলনায় ডম্বুর জলাশয়ে সংরক্ষিত জল কম থাকে। যার জন্যই ডম্বুর জলাশয়কে কেন্দ্র করে বড় আকারের পানীয় জলের পরিশোধনাগার তৈরি করা আপাতত সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় রেফারেন্স পিরিয়ডে বিধায়ক রঞ্জিত দাসের জনস্বার্থে আনা একটি জরুরি নোটিশের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা এই মর্মে জানান। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ডম্বুর জলাশয়ের সংরক্ষিত জলকে কেন্দ্র করে ধলাই জেলার ডম্বুরনগর ব্লকের রাণীরপুকুর ভিলেজ কাউন্সিলের অন্তর্গত সদাইনন্দ পাড়াতে একটি ও নাইক্কাছড়া ভিলেজ কাউন্সিলের অন্তর্গত প্রভুরাম পাড়ায় একটি উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে সদাইনন্দ পাড়া উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মার্চ মাসে চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৬৫টি পরিবারে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রভুরামপাড়া উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্পটি বৈদ্যুতিক সংযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫টি পরিবারে পানীয় জল সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও ডম্বুর জলাশয়ের সংরক্ষিত জলকে কেন্দ্র করে ধলাই জেলার রইস্যাবাড়ি ব্লকের পশ্চিম পোতাছড়া ভিলেজ কাউন্সিলের অন্তর্গত নারায়ণ সর্দার পাড়ায় একটি উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মোট ৫৫টি পরিবারে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয়জল সরবরাহ করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্ষাকালীন সময়ে ডম্বুর জলাশয়ের আনুমানিক ধারণ ক্ষমতা ২৮.৬৯ কোটি লিটার এবং শুখা মরশুমে আনুমানিক ১৮.২০ কোটি লিটার জল। ডম্বুর জলাশয়কে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎ দপ্তরের যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি রয়েছে তা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ন্যূনতম ২০.৯৮ কোটি লিটার বা তার বেশি জলের প্রয়োজন। এমনকি শুখা মরশুমে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ দিন প্রয়োজনের তুলনায় ডম্বুর জলাশয়ে সংরক্ষিত জল কম থাকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাইড্রেল পাওয়ার প্ল্যান্টের টারবাইনের উপর দিয়ে প্রবাহিত জলকে কেন্দ্র করে গোমতী নদীর পাদদেশে বহু ছোট ও মাঝারি ধরনের কৃষি জমিতে জলসেচের জন্য লিফট ইরিগেশন (এল.আই) প্রকল্প এবং পানীয়জল পরিশোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে। এ কারণে ডম্বুর জলাশয়কে কেন্দ্র করে বড় আকারের পানীয়জলের পরিশোধনাগার তৈরি করা আপাতত সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে হাইড্রেল পাওয়ার প্ল্যান্টের দুইটি তার টারবাইন যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিকল হয়ে আছে।বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই দুইটি টারবাইনের মেরামতির জন্য পরিকল্পনা চলছে।