নারীদের সাথে অসভ্যতা বরদাস্ত নয়, কংগ্রেস বিধায়কের বক্তব্য ভিত্তিহীন হাস্যকর: প্রদ্যোত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে মহিলা- মা-বোনদের সাথে অনৈতিক আচরণ হলে, এর সাথে জড়িত একজনকেও ছাড় প্রদান হবে না। অপরাধীদের কোন ধর্ম হয় না। মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনায় পাহাড়ি-বাঙালি যে কোন অংশের মানুষ জড়িত হোক, সকলের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা হবে। আজ এমনটাই বললেন তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তিনি মহিলাদের রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পাশাপাশি নেশার বিরুদ্ধে সকলকে পথে নামারও আহ্বান জানান।
এদিন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণকে বিঁধলেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।নয়াদিল্লী থেকে তিনি তার ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে বলেন,
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে সুদীপবাবু যা বলছেন তা, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর।এর সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই।প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, সুদীপবাবু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যাচারে ব্যস্ত।এই বিষয়টা নয়াদিল্লীতে বিজেপি হাইকমান্ডের কাছেও প্রমাণিত। এমনকী কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছেও স্পষ্ট।তাই সুদীপবাবুর-বক্তব্য হতাশার বহিঃপ্রকাশ।
প্রদ্যোতবাবু আরও বলেন, এসব মিথ্যাচারের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। রাজ্যে ব্রু-শরণার্থী চুক্তি এবং এডিসি গঠনের সময়ও রাজ্যে এই কংগ্রেস নেতারা
তীব্র বিরোধিতা করেছিল।
এরাই এখন উপজাতিদের জন্যে মায়া কান্নায় ব্যস্ত।এসব করে এরা পার পাবে না। পাহাড়ের মানুষ এদের উপযুক্ত জবাব প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে। সুদীপবাবুদের কাজ হল নিজেদের স্বার্থে রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকা। যা রাজ্যবাসীর কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। প্রদ্যোত কিশোরের অভিযোগ, সুদীপ বাবু-রা কোনও দিন চান না ত্রি-পাক্ষিক চুক্তির শর্ত পূরণ হোক। রাজ্যের উপজাতি জনসমাজ ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, শিক্ষার অধিকার, আর্থ-সামাজিক অধিকার পায়। অথচ এডিসিকে সরাসরি অর্থ-প্রদান, রোমান স্ক্রিপ্টে ককবরক পরীক্ষা, সহ ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত পূরণে আমাদের সাথে একমত কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী পুষ্পবন্ত প্রসাদে তাজ হোটেলে নির্মাণ বাবদ এডিসি পেলো ২৫৮ কোটি টাকা সহ তাজ গ্রুপে ২০০ চাকরি। এরপরও এরা এসব বলছে। যা রাজ্যের জন্যে দুর্ভাগ্যজনক।
তাদের ব্যর্থতার জন্যেই রাজ্যে টানা দু-দশকের উপর কমিউনিস্ট সরকার রাজত্ব করেছে। সুদীপবাবু এখন এক অদৃশ্য কারণে কমিউনিস্টদের ব্যর্থতাগুলি নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব দর্শক। রাজ্যের বাম সরকারের ব্যর্থতার জন্যে আমাদের বর্তমানেও অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো অধিকার চাইতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের কোন বক্তব্য নেই। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, বাংলাদেশে যারা রয়েছেন।তাদের পাশে আমরা আছি এবং থাকবো।