থারুর অস্বস্তি!!

 থারুর অস্বস্তি!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

ফের শশী থারুরকে নিয়ে অস্বস্তি কংগ্রেসে।কিছুদিন আগেও কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে শশী থারুর বিজেপি বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন।এবার পহেলগাঁও কাণ্ডের পর শশী থারুর পরোক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেন। সর্বশেষ শুক্রবার কেরলে একটি আন্তর্জাতিক বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং শশী থারুরের প্রশংসা করেন।প্রধানমন্ত্রীর কৌশল কংগ্রেসকে চাপে ফেলা।কংগ্রেসের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ানো।এজন্য প্রধানমন্ত্রী কৌশল করে শশী থারুরের প্রশংসা করেন।শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক কূটচালে এক কদম এগিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পি. বিজয়নেরও বেজায় প্রশংসা করেন। এখানেই লাগে খটকা।যে বিজেপি কমিউনিস্টদের নামই মুখে আনতে নারাজ,সেই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী কমিউনিস্ট নেতার প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ।
এর আগেও অর্থাৎ গত মার্চ মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানের প্রশংসা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। এর আগেও শশী থারুর সাম্প্রতিক সময়ে কংগ্রেস দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।তাতেই কংগ্রেস দলের মধ্যে যেমন একদিকে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে তেমনি কংগ্রেসের অনেক নেতা কর্মী শশী থারুরের এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধও হোন।
এরই মধ্যে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা তথা তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর হাজির ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী একে নিয়েও মন্তব্য করেন যে, এতে অনেকেরই রাতের ঘুম উবে যাবে।শুধু তাই নয়, শশী থারুর প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগতও জানান। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে শশী থারুর দিল্লী থেকে তিরুবনন্তপুরমেও চটজলদি উড়েও আসেন।কংগ্রেস নেতার এহেন বিজেপি ঘনিষ্ঠতাতে তার দলেরও অনেকেই অখুশি।জল্পনা চলছে তাহলে কী শশী থারুর বিজেপির দিকে পা বাড়াতে চলেছেন।
শশী থারুর এমনিতেই বর্তমানে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতা নন। তিনি গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতাদের বৃত্তেও নন। মনমোহন সিং জমানায় রাষ্ট্রসংঘ থেকে তিনি ভারতে আসেন।রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব পদে একবার দাঁড়িয়েছিলেন। এহেন কূটনীতিক নেতা রাহুল গান্ধীর খুব একটা ঘনিষ্ঠ নন।এর উপর গত কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের
সময় তিনি মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রতিপক্ষ হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও খাড়গের জেতা ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু তারপরও ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি দলকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। এহেন শশী থারুর গত লোকসভা নির্বাচনে তিরুবনন্তপুরমে পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তার জয় নিয়ে সন্দেহ ছিল। রাহুল গান্ধী তার প্রচারে যাননি। যদিও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গিয়েছিলেন প্রচারে। শশী থারুরের সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক মন্তব্য কংগ্রেসে অস্বস্তি বাড়াবার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে একে উপভোগ করছেন তা বোঝা গেলো শুক্রবারের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য থেকেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে, শশী থারুরের উপস্থিতিতে অনেকের রাতের ঘুম উবে যাবে। যদিও কংগ্রেস এতে বলেছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী যে কতটা সিরিয়াস তা বোঝা গেলো। প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের একটা আবহ উস্কে দিয়ে নিজে অন্য দলের কার ঘুম উবে যাবে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত। কংগ্রেসের কটাক্ষ অন্য দলের ঘুম উড়াতে বেশি ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের ঘুম উড়াতে তিনি ব্যস্ত নন। পাকিস্তানকে সমুচিত শিক্ষা দিতে, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি সিরিয়াস নন। রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী।
আসলেও তাই। প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁও কাণ্ডের পর কেন্দ্রের তরফে যে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিলো তাতে উপস্থিত থাকেননি। তিনি ওইদিন বিহারে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেন। বিরোধীরা এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন। আসলে পহেলগাঁও কাণ্ডের পর কেন্দ্র যতটা সিরিয়াস থাকার কথা ততটা সিরিয়াস ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে না। শুধু মিটিং আর হম্বিতম্বিই সার।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.