শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ প্রয়োজন: মুখ্যমন্ত্রী!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-এসসিইআরটি,শিক্ষা দপ্তর এবং লভ্য ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক সহর্ষ উৎসবের উদ্বোধন করে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, ছাত্রছাত্রীরা হচ্ছে দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের সামাজিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে গুণগত শিক্ষা প্রদান করতে হবে। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, সহর্ষ কথাটির অর্থ হচ্ছে আনন্দ। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আনন্দের সাথে লেখাপড়া করাই হচ্ছে সহর্ষ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।


এই কর্মসূচিতে চার লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী সুফল পাচ্ছে।এ কর্মসূচিতে দশ দিন বই ও ব্যাগ ছাড়া ছাত্রছাত্রীরা আনন্দে পাঠগ্রহণ করবে।জাতীয় শিক্ষানীতর নীতি নির্দেশিকা মাথায় রেখেই শিক্ষাবিদ,প্রশিক্ষকরা এই কর্মসূচি তৈরি করেছেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,চিরাচরিত পঠন পাঠন ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিহা লক্ষ্য করা যায়।এর ফলে বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ড্রপ আউটের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। সহর্ষ কর্মসূচির ফলে বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়বে। তিনি বলেন, প্রাচীনকালে ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত ছিলো। বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা নালন্দা ও তক্ষশিলার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
পড়াশোনা করতে আসত।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিক্ষা ব্যবস্থার এই ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছেন। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশে চৌত্রিশ বছর পর জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হয়েছে। তিনি বলেন, শিশুদের মধ্যে যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে তা বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন।সহর্ষ কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভাগুলিকে তুলে ধরতে এ দিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। নয়া শিক্ষানীতির সুফল পেতে নানা তৎপরতা চলছে। ২০২০ সালে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার এ দিন বলেন, সহর্ষ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ছয় হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।রাজ্যের প্রায় পাঁচ হাজার বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক, মানসিক বিকাশ এবং মূল্যবোধ গড়ার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লভ্য ফাউন্ডেশনের সিইও রিচা গুপ্তা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা অধিকর্তা,এসসিইআরটির -অধিকর্তা এল ডার্লং প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে এ দিন সহর্ষের – জিঙ্গেল বাজানো হয় এবং কর্মসূচির উপর একটি তথ্য চিত্র পদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে একশটি মডেল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ দপ্তরের জেলা আধিকারিকদের সম্মাননা জ্ঞাপন ও সংশাপত্র প্রদান করা হয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.