ট্রমা, রেডিওলজি সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে চরম দুর্ভোগ!!

 ট্রমা, রেডিওলজি সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে চরম দুর্ভোগ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিতে রোগীর যন্ত্রণার শেষ নেই।হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়েও রোগীকে প্রচণ্ড দুর্ভোগ ও বিপাকে পড়তে হচ্ছে।হাসপাতালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে সোমবার মধ্যরাতের পর আচমকা হাসপাতালজুড়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। পুরো হাসপাতালের সব বিভাগে অন্ধকার নেমে আসে। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ৫০০ কেভি সাবস্টেশনে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে হাসপাতালজুড়ে বিদ্যুৎ সংকট দেখখ দেয়। রাত ১টা ৫৭ মিনিট থেকে হাসপাতালজুড়ে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। রাত তিনটার পর বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। তবে হাসপাতালের এনটিএইচ বহুতল ভবনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ ছিল না। এই ভবনেই ট্রমা সেন্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা বিভাগ রয়েছে। ট্রমার পাশাপাশি এই ভবনে রোগীর রোগ পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ রেডিওলজি বিভাগও রয়েছে। আইসিইউ, ভেন্টিলেশন সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা বিভাগ চালু রয়েছে এই ভবনেই। রাত ১টা ৫৭ মিনিটে হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালের অন্য বিভিন্ন বিভাগের জেনারেটরগুলি একে একে চালু করে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ জোগান দেওয়া হলে এটিএইচ ভবন ১ নম্বরে কিন্তু বিদ্যুৎ তখনও নেই। এনটিএইচ ভবন এক নম্বরের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা বিদ্যুৎ জোগান দিতে গিয়েও জেনারেটর কাজ করছিল না।
হাসপাতালে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার চরম বিপর্যের খবর পেয়ে বিদ্যুৎ নিগমের মেডিকেল কলেজ সাবডিভিশনের এসডিও বিশ্বজিৎ মজুমদারও হাসপাতালে ছুটে আসেন। নিগমের কর্মীরাও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচতল করার জন্য রাতেই কাজ শুরু করেন।কিন্তু ট্রমা কেয়ার সেন্টারে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের তরফে বিকল্প কোনও ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ চালু না করতে পারায় ট্রমা সেন্টারে চরম বিপাকে পড়েন রোগী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ট্রমা সেন্টারে নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগী যেমন রয়েছেন তেমনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন এমন রোগীও রয়েছেন। ট্রমা সেন্টারে আইসিইউ রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসা পরিষেবার কাজ প্রচণ্ডভাবে বিঘ্নিত হয়ে পড়ে বলে রোগী ও রোগীর আত্মায়রা অভিযোগ করেন। রোগীর চিকিৎসা পরিষেবায় হাসপাতালের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল ট্রমা সেন্টার। ট্রমা সেন্টারে যখন পুনরায় বিদ্যুৎ আসে তখন রাত তিনটা পার হয়ে যায়। ট্রমা সেন্টারে যখন বিদ্যুৎ নেই পুরো অন্ধকারের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘটনা-দুর্ঘটনায় একের পর এক গুরুতর আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছিল।অন্ধকার দেখে সকলেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।তারমধ্যে ট্রমা সেন্টারের কাছে হাসপাতালের রোগ পরীক্ষায় রেডিওলজি বিভাগেও বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীর জরুরি ভিত্তিতে রোগ পরীক্ষাও বন্ধ হয়ে পড়ে। সিটি স্ক্যান ও এক্সরে করানোর জন্য চিকিৎসক লিখে দিলেও বিদ্যুৎ না থাকায় রোগ পরীক্ষার কাজও বন্ধ হয়ে থাকে। বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ রেজিওলজি বিভাগেও চালু করা যায়নি। তাতেই রোগীর রোগ পরীক্ষা নিয়ে চরম বিপত্তি দেখা দেয়। বিদ্যুৎ না আসলে রেডিওলজি বিভাগের কাজ শুরু করা যাবে না বলে সেই বিভাগ থেকে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের জানিয়ে দেওয়া হয়। আর তাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবায় হাসপাতালের অব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে গভীর রাতে রেডিওলজি বিভাগে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।বেসরকারী নিরাপত্তা কর্মী ও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয় বলে রোগীর ক্ষুব্ধ আত্মীয়রা জানান। হাসপাতালের সাবস্টেশন বিদ্যুৎ নিগম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করারপর তিনটা নাগাদ বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করার পর ট্রমা সেন্টার, রেডিওলজি বিভাগ সহ অন্যান্য ইউনিটেও রাতে স্বস্তি দেখা দেয়। প্রশ্ন উঠেছে ট্রমা সেন্টার ও রেডিওলজি বিভাগে জেনারেটর কাজ না করলে কেন বিকল্প ব্যবস্থা ইউপিএস ছিল না। বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় রাজ্যের প্রধান হাসপাতালের ট্রমা ও রেডিওলজি বিভাগের প্রতি কেন চরম উদাসীনতা। এদিকে জাা গেছে, অবশেষে চাপে পড়ে মঙ্গলবার ট্রমা সেন্টারের জন্য ইউপিএস সিস্টেম চালু করা হয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.