জুলাই মাসে হবে শিলান্যাস,জিরানীয়ায় ৮০ কানি জমিতে তৈরি হবে অত্যাধুনিক পার্ক: সুশান্ত!!
কৃষির উন্নয়নে নতুন রূপরেখা রাজ্যের: রতন!!


অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয় সরকারের জল বিভাজিকা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পূর্ব নোয়াগাঁও গ্রামটিকে কৃষির উন্নয়নের স্তরে পৌঁছাতে নতুন রূপরেখা নিয়েছে কৃষি দপ্তর।

শুক্রবার পূর্ব নোয়াগাঁও পঞ্চায়েত কমিউনিটি হলে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা। ওই সভায় কৃষকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আত্মা হলো কৃষক। তাদের উন্নতি হলেই দেশের উন্নয়ন গতিশীল হবে। শুধু তাই নয়, তারা যেন ঈশ্বরের প্রতিনিধি। সকল কৃষকদের আহ্বান জানালেন কৃষিমন্ত্রী। দেশের বিরাট ভূমিকায় রয়েছে কৃষক সমাজ। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের আর্থিক উন্নয়ন এবং তাদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছেন। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
এদিনের মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসএলএন এর সিইও শরদিন্দু দাস, ডেপুটি প্রজেক্ট অফিসার এবং হেজামারা এসএ। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন চিত্র দেববর্মা।
এডিসি ভিলেজ নোয়াগাঁও পঞ্চায়েতের কৃষি ব্যবস্থাকে আরও সাজিয়ে তুলতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকারী তরফে এর ব্যাখ্যায় কৃষিমন্ত্রী রতন নাথ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের জল বিভাজিকা প্রকল্পের একটি অংশ মাইক্রো ওয়াটার শেড। বৃষ্টির জলকে কীভাবে সংরক্ষণ করে কৃষিকাজে ব্যবহার করবে এর জন্য এই পদক্ষেপ।বৃষ্টির জল যেখানে ব্যবহৃত হয় চাষের ক্ষেত্রে জল দীর্ঘদিন ধরে রাখতে এলাকার কৃষির সাথে যুক্ত যারা আছেন তাদের কীভাবে স্বাবলম্বী করা যায় এর জন্য এই চিন্তাধারা। গ্রামীণ কৃষি জীবিকাকে ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের প্রথমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিঞ্চন যোজনা এর সাথে কৃষকদের সম্মান ও মহিলাদের এগিয়ে নিতে রাজ্য সরকার কাজ করছে। রাজ্যে আঠারোটি মহকুমার মধ্যে উনিশটি প্রকল্প আছে। এর মধ্যে নোয়াগাঁও এডিসি ভিলেজের নোয়াগাঁও পঞ্চায়েত একটি। জল বিভাজিকা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে একশদিনের পূর্ব নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে কী কী কাজ করা হবে এর রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এক কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এই এলাকায় বিভিন্ন বাগান তৈরি করার জন্য লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে এর বেনিফিসিয়ারি সিলেক্ট হয়েছে।এদিন তাদের হাতে সেই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার তুলে দিলেন কৃষিমন্ত্রী।তাছাড়া পঁচিশ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে বেনিফিসিয়ারিদের মধ্যে আদা, হলুদ, মৎস্য, শূকর পালনের জন্য। একশদিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এর মূল উদ্দেশ্য কৃষিকাজে যুক্ত যারা তাদের কীভাবে স্বাবলম্বী করা যায়। এর জন্য তৈরি করে দেওয়া হয়েছে কমিটি। ১২৫ পরিবারকে বাগান করে দেওয়া হচ্ছে। এক কথায় নোয়াগাঁও এলাকাটি একেবারে নতুন রূপে সেজে উঠছে কৃষিক্ষেত্রে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে এসএলএন এর সিইও শরদিন্দু দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চন যোজনার অধীনে মাইক্রো ওয়াটার শিফ্ট প্রকল্পে এক কোটি টাকা মঞ্জুর নোয়াগাঁও পঞ্চায়েতের জন্য। এদিন ওই প্রকল্পের রাবার বাগান মন্ত্রীর হাত ধরে একটি রাবার চারা রোপণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।