মানিকভাণ্ডার – ফটিকরায় জাতীয় সড়ক বেহাল বিপদের শঙ্কা, উদ্বেগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- বর্ষার বিপদ ঘনিয়ে আসছে মানিকভান্ডার ফটিকরায় জাতীয় সড়কেও। এই পথটিও ২০৮ জাতীয় সড়কের অংশ। মানিকভাণ্ডার-খোয়াই অংশের অবস্থা এক কথায় ভয়াবহ। ত্রিশ কিলোমিটার দীর্ঘ মানিকভাণ্ডার-ফটিকরায় রোডের মানিকভাণ্ডার বাজার সংলগ্ন অংশ বৃষ্টি হবার আগে থেকেই ভাঙতে শুরু করে। বিপর্যয় ঘটে যায় ২০ মে। আমবাসা হয়ে আসা একটি পাথর বোঝাই গাড়ি বাজারের কাছে বসে যায়। এই অংশটুকুর পিচ এর আগেই বসে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল পথটি। কিছুদিন আগে মেরামতি করে। ২০ মে এই ভাঙা অংশে বিপত্তি ঘটে। সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা অবধি যান চলাচল ব্যাহত হয়। একটায় ডজার এসে ট্রাকটিকে তুলে নেয়। জানা গেছে, পাথরবোঝাই এই গাড়ি ২০৮ জাতীয় সড়কের লাম্বু রোড হয়ে আগরতলা যাওয়ার কথা ছিল, পথে বিপত্তি। জানা গেছে, প্রতিদিনই বেশকিছু পাথরবোঝাই গাড়ি জাতীয় সড়ক হয়ে আগরতলা যাচ্ছে। মালবোঝাই এই ধরনের গাড়ি যাওয়া আসা করায় ২০৮ জাতীয় সড়কের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি গোপনে হয়নি। সবার চোখের সামনেই হয়েছে ও হচ্ছে। বলা দরকার, কোন পথে কত টন ওজন সহ যানবাহন চলাচল করবে তা ঠিক করে পূর্ত দপ্তর। নবনির্মিত ২০৮ জাতীয় সড়কে যাওয়া আসা করছে। তার মানে এটা বৈধ। সেক্ষেত্রে পথ ভাঙার দায়িত্ব কার? নির্মাণ সংস্থা বাধা দেয়নি। কিন্তু মালবোঝাই তথা পাথরবোঝাই গাড়ি যাওয়া আসা করায় সবার চোখের সামনে নতুন পথের বারোটা বেজেছে। এর প্রমাণ ২০ মে’র ঘটনা। তবে পথ এক জায়গায় ভাঙেনি কেবল কমলপুর-খোয়াইয়ের অংশে নয়। পথ বেহাল হতে শুরু করেছে ২০৮ সড়কটির মানিকভাণ্ডার-ফটিকরায় অংশেও।মানিকভাণ্ডার-ফটিকরায় অংশের অবস্থা ভালো নয়। এই অংশে সাধারণ যানবাহন চলে। পাথরবোঝাই গাড়িও যাওয়া আসা করে। আঠারোই মে ২০০ জাতীয় সড়কের এই অংশে গিয়ে দেখা গেছে একাধিক ভাঙা দৃশ্য। অর্থাৎ এই অংশটুকুও ভাঙতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় সুরকি ও পিচ দলা পাকিয়ে গেছে। ন্যূনতম আঠারোটি জায়গার এই অবস্থা। দুই থেকে আড়াই মাস পে শ অবস্থা কেমন হবে। উল্লেখ্য, উত্তর জেলা ও ঊনকোটি জেলার বহু যানবাহন এ -পথে এখন চলাচল করে। গুরুত্ব আছে পথের। পথের কাজ নিম্নমানের হয়েছে – এই অভিযোগে বহুবার সংবাদ হয়েছে। কিছুদিন ভারী গাড়ি যাওয়া করায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই পথ। কিছুদিনের মধ্যে বেহাল হবে সমগ্র পথ। ভারী গাড়ি যাওয়া আসা করবে অথবা মাল সহ অন্যান্য যান যাওয়া আসা করবে এটা জেনেই নির্মাণ সংস্থা পথ নির্মাণ করছে। সেক্ষেত্রে সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব কার? এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র।