রওয়ানা হলো রাজ্যদল
অবশেষে কুড়িজন ফুটবলার এবং তিনজন অফিসিয়াল সহ মোট তেইশজনের রাজ্যদল আজ অনূর্ধ্ব সতেরো জাতীয় জুনিয়র মহিলা ফুটবল আসরে অংশ গ্রহণ করতে গুয়াহাটির উদ্দেশে রওয়ানা হলো । এদিন দুপুর বারোটায় আগরতলা থেকে সড়ক পথ ধরে গুয়াহাটির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে দলটি । হিসাব মতো আগামীকাল ( বুধবার ) সকাল আটটায় রাজ্য দল গুয়াহাটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে । আগামী আঠারো জুন থেকে আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে হিরো কাপ অনূর্ধ্ব সতেরো জাতীয় জুনিয়র মহিলা ফুটবল আসর শুরু হতে যাচ্ছে । গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে খেলা হবে । উল্লেখ্য , গতকাল এই রাজ্য দলের কুড়িজন ফুটবলারের মধ্যে ষোল জনের নামের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ফেডারেশনের তরফে ।
তবে আজ সকালে দলের বাকি চার ফুটবলারের নামেও অনুমোদন দেয় ফেডারেশন । যার সুবাদে কুড়িজন ফুটবলারকে টিমে রাখার সুযোগ পায় টিএফএ । আজ দুপুরে রাজ্য দলকে বিদায় শুভেচ্ছা জানাতে রাজধানীর চন্দ্রপুর স্ট্যান্ডে ছিলেন টিএফএ – র যুগ্ম সচিব মনোজ দাস ও সুজিত ঘোষ । উল্লেখ্য , এই মহিলা ফুটবল আসরে নয়টি গ্রুপে চারটি করে মোট ৩৬ টি দল খেলছে । এর মধ্যে পূর্বোত্তর রাজ্যের স্বাগতিক আসাম , মিজোরাম , মণিপুর , ত্রিপুরা সহ সবকটি দল খেলছে এই আসরে । আসাম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে পাশে নিয়ে এআইএফএফ সরাসরি এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে । এক কথায় বড় পরিসরে হচ্ছে এই জুনিয়র মহিলা আসর । আর এই আসরে ত্রিপুরাকে ‘ এফ ’ গ্রুপে রাখা হয়েছে । ত্রিপুরা গ্রুপে রয়েছে মহারাষ্ট্র , চন্ডীগড় , দাদরা নগর হাভেলি ও ওড়িশা এই চারটি দল । আঠারো জুন গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ত্রিপুরার সামনে মহারাষ্ট্র। কুড়ি জুন গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ত্রিপুরা ও চন্ডীগড় লড়বে ।
বাইশ জুন গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচে ত্রিপুরা প্রতিপক্ষ দাদরা নগর হাভেলি এবং চব্বিশ জুন গ্রুপের চতুর্থ তথা শেষ ম্যাচে ত্রিপুরা খেলতে নামবে ওড়িশার বিরুদ্ধে । ২৯ ও ৩০ জুন আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচগুলো হবে । দুই জুলাই দুটো সেমিফাইনাল ম্যাচ হবে । চার জুলাই হচ্ছে ফাইনাল ম্যাচ । এদিকে , জাতীয় জুনিয়র এই মহিলা ফুটবল আসরে ত্রিপুরা দলের সাফল্য নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে চায়নি দলীয় কোচ শোভেঞ্জিত সিনহা । যদিও তিনি শুরু থেকেই এই টিম নিয়ে খুব একটা খুশি নন । ওনার বক্তব্য যে , জাতীয় জুনিয়র মহিলা ফুটবল আসরে ভালো খেলা উপহার দেওয়া বা চ্যালেঞ্জ ছুড়ার মতো সেই মানের টিম হয়নি । দলে যে ফুটবলাররা রয়েছেন তাদের অনেকেই নিয়মিত প্র্যাকটিসে নেই । ফলে এই অবস্থায় তারা জাতীয় এই আসরে গিয়ে মাঠে কতটা লড়াই করতে পারবে তা নিয়ে জোর দিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না । তবে প্র্যাকটিসের জন্য আরও কিছুদিন সময় পাওয়া গেলে ভালো হতো । একটা ব্যালেন্স টিম করা যেতো ।