ফিফার বড় সিদ্ধান্ত
হাতে আর মাত্র পাঁচ মাস রয়েছে । আর তার পরেই কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে । আর তার আগেই এবার বিশ্বকাপ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ফিফার কর্তারা । এইবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলির খেলোয়াড়ের সংখ্যা আরও বাড়াল তারা । এইবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলি মোট ২৬ জন করে খেলোয়াড়কে রাখতে পারবে । করোনার পরবর্তীতে বদলে গিয়েছে কার্যত গোটা বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থা । ফুটবল বিশ্বও কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয় । করোনার প্রভাবে বদলে গিয়েছে ফুটবলের বেশ কিছু নিয়ম । যার সুফল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন । কিন্তু আবার সংক্রমণ এখন আগের থেকে অনেকটা কমে যাওয়ার ফলে ২০২০ সালে চালু হওয়া বিভিন্ন নিয়ম এখন ধীরে ধীরে ফের অবলুপ্তির পথে ।কিন্তু ৯০ মিনিটের ম্যাচে পাঁচ জন খেলোয়াড়ের বদলির নিয়ম অবশ্য আগের মতোই রয়েছে ।
কিন্তু ফিফা আগামী কাতার বিশ্বকাপকে পাখির চোখ রেখে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না । তাই প্রতিটি দলের স্কোয়াডে খেলোয়াড়দের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ফুটবল বিশ্বকাপ সাধারণত গ্রীস্মে হয়ে থাকে। তবে এইসময়ে কাতারের তাপমাত্রা অত্যাধিক হওয়ার কারণে ফিফার কর্তারা বিশেষ বিবেচনায় মাধ্যমে এবারের বিশ্বকাপের আসর সরিয়ে নিয়ে গিয়ে শীতকালে করেছিল । কাতারের বিশ্বকাপের আসর আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হয়ে চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত । আর এই সময়ে যাতে করোনা সংক্রমণের কোনও ঘটনার জন্য দলে প্রভাব না পড়ে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা । প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী , কোনও টুর্নামেন্টে ২৩ জনের স্কোয়াড নিয়ে যেতে পারত অংশগ্রহণকারী দেশগুলো । তবে শুক্রবার ফিফা জানায় , এবার সর্বোচ্চ ২৬ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে স্কোয়াড গড়া যাবে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কর্তারাও তিন জন বেশি খেলোয়াড়কে নিয়ে স্কোয়াড গড়ার অনুমতি দিয়েছিল । আর এবার আগামী কাতার বিশ্বকাপেও এই একই পথে হাঁটল ফিফা । তবে শুধু করোনাই নয় তার সঙ্গে ফিফা খেলোয়াড়দের কথা মাথায় রেখেও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন । তাদের মতে , করোনার কারণে ব্যস্ত সুচিতে ফুটবলারদের উপর যাতে করে বাড়তি ধকল না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতেই নতুন করে এই নিয়ম চালু হল । সেই সঙ্গে কাতারের রেখেও জলবায়ুর কথা মাথায় অতিরিক্ত তিনজন খেলোয়াড়কে দলে রাখা সুবিধাজনক বলে মনে করছেন ফিফার কর্তারা । উল্লেখ্য , কাতারে উষ্ণ তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ফুটবলারদের কষ্ট হবে বলে স্টেডিয়ামগুলোতে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে । একই ব্যবস্থা থাকবে দর্শকদের জন্যও।