ব্যাঙ্কের জন্য আসছে নয়া আইন

 ব্যাঙ্কের জন্য আসছে নয়া আইন
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

ব্যাঙ্কের কাজকর্ম কেমন চলছে এবং আগামীদিনে ব্যাঙ্কিং সেক্টর কোনদিকে যেতে চলেছে সেই পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করলেন অর্থমন্ত্রী । দিনভর ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি । তবে এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য , সংসদের আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বেসরকারীকরণ বিল আসতে চলেছে । আর সেটা নিয়েই অর্থমন্ত্রক অগ্রসর হচ্ছে জোরকদমে । অনেকদিন ধরেই ১৯৭০ সালের ব্যাঙ্কিং জাতীয়করণ আইনকে সংশোধন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারীকরণের রাস্তা খুলে রাখতে চাইছে । যা নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন তুঙ্গে ।

মোট সাতাশটি ব্যাঙ্ক থেকে প্রথমে সতেরো এবং তারপর বারোটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এখন রয়েছে ভারত সরকারের হাতে । রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে যে বিক্রি করা হয়েছে এমন নয় । প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে যে যৌথ উদ্যোগের ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে সরকারের অংশীদারিত্ব ছিল , সেই অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেওয়া হয় । এরপর নতুন করে কয়েকটি ব্যাঙ্কের নাম তালিকাভুক্ত হয় বেসরকারীকরণ করার জন্য । সেই তালিকায় রয়েছে আইডিবিআই । অন্যদিকে নীতি আয়োগ আরও বেশি করে এবং আগ্রাসীভাবে ব্যাঙ্ক বেসরকারীকরণ নীতিতে অগ্রসর হতে বলেছে সরকারকে । আর সেই লক্ষ্য পূরণে আপাতত আরও দুটি ব্যাঙ্ককে চিহ্নিত করা হয়েছে । সরকারী সূত্রের খবর ইণ্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ককে এই তালিকায় রাখা হবে ।

ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ককে বেশ কিছু আর্থিক শর্তের আয়ত্তে রেখেছে । বিগত আর্থিক বছরে একঝাঁক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সরকারকে মুনাফা প্রদান করেছে । স্টেট ব্যাঙ্ক সেই তালিকায় সর্বোচ্চ । কিন্তু সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এখনও সেই তালিকায় নেই । সুতরাং ওভারসিজ এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এই দুই ব্যাঙ্কই এখন দিন গুনছে বেসরকারী হাতে যাওয়ার । কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে রিভিউ বৈঠকে বলেছে , এবার থেকে সরকারের তরফে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার প্রবণতা কমবে । আগামীদিনে ব্যাঙ্ককেই স্থির করতে হবে লগ্নির উপায় । সন্ধানও করতে হবে কীভাবে এবং কোন্ উপায়ে বাণিজ্য ও মুনাফা বাড়ানো যায় । এখন সরকার দুটি পরিকল্পনা নিয়েছে । রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে আরও একজোট করে সংযুক্ত করা ।

অর্থাৎ একঝাঁক সরকারী ব্যাঙ্ক আর রাখা হবে না । কমিয়ে আনার জন্য দুটি বা তিনটি ব্যাঙ্ককে আরও সংযুক্ত করা হবে । আর দ্বিতীয়ত বেসরকারীকরণ । দুই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার জন্যই ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ আইনের ( ১৯৭০ ) সংশোধনী বিল তৈরি হয়েছে । এবার দ্রুত সেই বিলকে আইনে পরিণত করা হবে । সেই কারণেই শুরু হয়েছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি । আজ রিভিউ বৈঠকে এই নিয়েও আলোচনা হয়েছে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.