সপ্তাহব্যাপী ঐতিহ্যপূর্ণ খার্চি উৎসব শুরু

 সপ্তাহব্যাপী ঐতিহ্যপূর্ণ খার্চি উৎসব শুরু
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

শুরু হল রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী মিশ্র সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির অন্যতম সামাজিক মিলন মেলা খার্চি পুজো । বৃহস্পতিবার পুরাতন হাবেলিতে সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবের সূচনা হয় । চিরাচরিত প্রথা ও রীতিনীতি মেনে সকালে হাওড়ার পুণ্যস্নান ঘাটে চতুর্দশ দেবতাকে অবগাহনের মধ্য দিয়ে শুরু হল চতুর্দশ দেবতা পুজো । সকাল এগারোটায় কৃষ্ণমালা মুক্তমঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে সপ্তাহব্যাপী মেলা ও প্রদর্শনীর সূচনা করেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া । তিনি বলেন , একটা অংশ বিভিন্ন দেবদেবী নিয়েও বিভাজন তৈরির চক্রান্ত করে চলছে । ভগবান বা দেবতার সঙ্গে জাতপাত হয় না ।

IMG-20220707-WA0013

কিন্তু মানুষের মধ্যে এটা জনজাতিদের দেবতা , এটা বাঙালিদের দেবতা বলে বিভেদ সৃষ্টি করার চক্রান্ত চলছে । তিনি বলেন , ভগবান ও ভক্তের জাতপাত হয় না । তাই বিভেদ সৃষ্টিকারীদের চক্রান্তে পা না দেবার আহ্বান জানান তিনি । অনুষ্ঠানে মন্ত্ৰী প্ৰসাদ প্রকল্পে মাতাবাড়ির যেভাবে উন্নয়ন চলছে
সেইভাবে পুরাতন হাবেলিকে কীভাবে সাজিয়ে তোলা যায় সেই উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করবে বলে জানান । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রী প্রেম কুমার রিয়াং । তিনি বলেন , এটা শুধু একটা জাতিগোষ্ঠীর মেলা নয় । খার্চি পুজো ও মেলা সকল অংশের মানুষের মিলন উৎসব ।

IMG-20220707-WA0012

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেলা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী হিংসামুক্ত নেশামুক্ত উন্নয়নযুক্ত রাজ্য গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান । উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তড়িৎকান্তি চাকমা , দেবপ্রিয় বর্ধন , জেলাশাসক মহকুমাশাসক জীবনকৃষ্ণ আচার্য , চেয়ারপার্সন পঞ্চায়েত সমিতির বিশ্বজিৎ শীল , সমাজসেবী অমিত নন্দী সহ অন্যরা । খার্চি পুজো ও মেলার প্রথম দিন বিকেলে চতুর্দশ দেবতা বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহা । তিনি পুজো দিলেন রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় । এদিন মন্দিরে পুজো দিলেন মহারাজ প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ , এডিসির চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা । খার্চি উৎসবের প্রথম দিন সন্ধ্যায় পুরাতন আগরতলায় ব্যাপক লোকসমাগম হয় ।

মেলার প্রথম দিন খবর লেখা পর্যন্ত মেলাকে ঘিরে কোনও অঘটনের খবর নেই। অভিযোগ , চতুর্দশ দেবতা মন্দিরের সামনে পুকুরে বোট নামানো হয়েছে । সেই বোটে পুণ্যার্থীদের ভ্রমণের ব্যবস্থার জন্য ত্রিশ টাকা করে নেওয়া হয়েছে । অথচ শিশু সহ কারোর নিরাপত্তার স্বার্থে বোটে রাখা হয়নি লাইফ জ্যাকেট । যা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । মেলাকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত করার জন্য এলাকার নিরাপত্তা , ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে । আগামীকাল বৃষ্টিপাত না হলে মেলায় রেকর্ড ভিড় হবে বলে ধারণা মেলা কমিটির তবে ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ দেশব্যাপী বৃদ্ধি পেলেও খার্চি উৎসবকে ঘিরে কিন্তু করোনাবিধি লাগু করা হয়নি ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.