নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
ত্রিপুরার হয়ে ইনিংস শুরুর প্রস্তুতি ঋদ্ধির
রঞ্জি ট্রফিতে এবার ত্রিপুরার হয়ে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন বাংলার তথা ভারতীয় দলের উইকেটকিপার – ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা । চুক্তি হয়ে গেছে । এখন অপেক্ষা মাঠে নেমে পড়ার। গতকাল দুপুরে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করার কিছু সময় বাদেই সংস্থার সভাকক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ঋদ্ধি । সাংবাদিকদের আনা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধিমান বলেন , ত্রিপুরার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি । আর মাত্র কয়েক মাস বাকি । এর মধ্যেই সবাইকে নিয়ে প্রস্তুতিতে নেমে যেতে চাইছি । ত্রিপুরায় অনেক প্রতিভা রয়েছে । আশা করছি তাদের নিয়ে খেলে দলকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে পারবো।
আমি যেখানেই খেলি তা টিম ইণ্ডিয়ার হয়েই হোক বা বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতেই হোক কিংবা আইপিএল – সব জায়গায়ই আমি উইকেটের সামনে ও পেছনে নিজের সেরাটা দেবার জন্যই চেষ্টা করি । সে হিসাবে ত্রিপুরার হয়েও আমি আমার সেরাটাই দেবো । শুধু তাই নয় , নিজের সেরাটা দেবার পাশাপাশি সতীর্থরাও যেন ভালো খেলে এর জন্যও সবসময়ই চেষ্টা করবো । যেহেতু আমাকে টিসিএ একজন প্লেয়ার কাম মেন্টর হিসাবে চাইছে তাই আমি সবসময়ই সতীর্থ স্থানীয় ক্রিকেটারদের মোটিভেট করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো । কার কোথায় দুর্বলতা , সমস্যা সেগুলি জেনে তা থেকে বের হয়ে আসার উপায়ও বলে দেবো । ঋদ্ধিমান আরও বলেন , ত্রিপুরার অনেক ক্রিকেটার সম্পর্কেই আমার ধারণা রয়েছে ।
অতীতে অনেকবারই ত্রিপুরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ছাড়া অন্যান্য টুর্নামেন্টে ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল । তাই এখানকার ক্রিকেটারদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা ও দেখার সুযোগ হয়েছিল । তবে ত্রিপুরা ক্রিকেট পরিকাঠামোগতভাবে অনেক বদলে গেছে । অনূর্ধ্ব ১৯ ও অনূর্ধ্ব ২৩ টুর্নামেন্ট খেলতে বেশ কয়েকবার বাংলার হয়ে আগরতলায় খেলতে আসার সুযোগ হয়েছিল আমার । সেসময় আমার দেখা আর এখানে ক্রিকেট পরিকাঠামোর অনেক পার্থক্যই এখন দেখলাম । তাই আমার বিশ্বাস , ত্রিপুরা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ভালো কিছু করতে পারবো । ক্রিকেটই আমার ধ্যান – জ্ঞান । প্যাশনও । তাই যখনই খেলতে নামি তখন আমার সামনে একটাই লক্ষ্য থাকে , নিজে ভালো খেলা এবং দলকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও আমার ভূমিকা ঠিক তেমনই থাকবে । তবে বর্তমান দলকে নিয়ে ময়দানে ব্যাট বলের যুদ্ধে নামার আগে এখানে যারা সিনিয়র ক্রিকেটার রয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে । এছাড়া যারা প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কোচ রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলারও দরকার আছে । সবার সহযোগিতা , আশীর্বাদ ও সমর্থন নিয়েই ত্রিপুরার সিনিয়র দলকে জাতীয় ক্রিকেটে একটা সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্য রয়েছে আমার , জানান ঋদ্ধিমান ।
এদিকে , সিনিয়র দলের জন্য তিনি ছাড়া আরও দু – একজন পেশাদার ক্রিকেটার দরকার রয়েছে বলেও মনে করছেন ঋদ্ধিমান । তবে এই বিষয়টি তিনি টিসিএর কর্মকর্তাদের উপরই ছেড়ে দিচ্ছেন । তবে দায়িত্ব পেলে রাজ্যের জুনিয়র ও সিনিয়র উইকেটকিপারদের নিয়ে ক্যাম্প করতে চান তিনি । তার উদ্দেশ্য নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারের উইকেটকিপারদের সঙ্গে শেয়ার করা । ত্রিপুরা থেকেও যেন আইপিএল খেলতে পারে তার জন্যই তিনি চেষ্টা করবেন । কীভাবে তৈরি হতে হয় তার পরামর্শও দেবেন । পরিশেষে ঋদ্ধিমান বলেন , ত্রিপুরা রঞ্জি দলের নেতৃত্ব তার কাঁধে দেওয়া হলেও তিনি তা নিতে রাজি । অতীতে বাংলা সিনিয়র দলকে তার নেতৃত্ব দেবার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাও জানান । তবে রঞ্জি ট্রফিতে ভালো ফলাফল করতে হলে প্রচুর প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলা দরকার তা পাশে বসা টিসিএ কর্মকর্তাদেরও জানিয়ে দেন ঋদ্ধি ।