নেশায় ডুবছে অমরপুর,উদ্বেগ
দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ নেশা মুক্ত ত্রিপুরার আহ্বানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নেশা কারবারী ও নেশাখোরদের বাড়বাড়ন্ত চলছে অমরপুরে। রবিবারও ৪৩০ কৌটা ব্রাউন সুগার ও প্রচুর নেশার টেবলেট সহ বিশ্বজিত ভট্টাচার্য নামে বড়সর এক নেশাদ্রব্য বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বীরগঞ্জ থানার পুলিশ।
বিগত দিনে নেশা বিরোধী অভিযানে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার কারনেই অমরপুরে নেশা বানিজ্যের বাড়বাড়ন্ত বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ।
সম্প্রতি মহকুমার বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কার্যকারক হিসাবে ইন্সপেক্টর জয়ন্ত দাস দায়িত্ব নেওয়ার পর থানা এলাকায় নেশাবিরোধী অভিযান জোরদার হয়। এরফলে বীরগঞ্জ থানার পুলিশের নেশা বিরোধী অভিযানের সাফল্যের খতিয়ান লম্বা হতে শুরু করে । প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও নেশা বিরোধী অভিযানে নেমে নেশাখোর ও নেশাদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হচ্ছে বীরগঞ্জ থানার পুলিশ। গত সপ্তাহেই প্রচুর নেশা সামগ্রী সহ জনৈক জনজাতি যুবককে স্কুটি সহ এনডিপিএস অ্যাক্টে আটক করে গারদে পুরেছে বীরগঞ্জ থানারপুলিশ।
রবিবারও বীরগঞ্জ থানার ওসি জয়ন্ত দাসের নেতৃত্বে বীরগঞ্জ থানার পুলিশ অমরপুর হাসপাতাল চৌমুহনীস্হিত অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী তথা প্রয়াত দুলাল ভট্টাচার্যের বাড়িতে নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৩০ কৌটা ব্রাউন সুগার ও প্রচুর সংখ্যক নেশার টেবলেট সহ প্রয়াত দুলাল ভট্টাচার্যের পুত্র তথা অমরপুরের নেশা কারবারিদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে পাকরাও করে গারদে পুরতে সক্ষম হয়েছে। জান গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে জাল পেতে পুলিশ অমরপুর মোটর স্ট্যান্ড থেকে নেশা দ্রব্য সহ বিশ্বজিত ভট্টাচার্যকে আটক করে। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতাল চৌমুহনীস্হিত বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে আরো ৪১০ কৌটা ব্রাউন সুগার ও প্রচুর নেশার টেবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।