কল্যানপুরে শিশুকন্যা খুনে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত!!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন।। কল্যাণপুরে চাঞ্চল্যকর শিশুকন্যা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। তদন্তে সাফল্য পেল পুলিশ। কল্যাণপুরে এই শিশু হত্যার ঘটনায় খোয়াই জেলা পুলিশের জাম্বু টিম মাঠে নেমেছিলো। অবশেষে সাফল্য পেল পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করলো শিশু খুনের সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম আমন নায়েক, পিতা লক্ষিন্দ্র নায়েক। জানাগেছে, একাধিক বার ধর্ষণ করে পরে শিশুকন্যাটিকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই শুক্রবার কল্যাণপুর থানা এলাকার পশ্চিম কুঞ্জবন এডিসি ভিলেজের নায়েক পাড়ার বাসিন্দা দিনমজুরের নাবালিকা শিশু কন্যা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পিতা মাতা কাজের তাগিদে অন্যত্র গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে দেখে তাদের মেয়ে বাড়িতে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শেষে ৯ জুলাই শনিবার কল্যাণপুর থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে। যথারীতি পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে। এই তদন্তে মাঠে নামানো হয় পুলিশ কুকুর। খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তে সামিল হন খোয়াই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ পাল, তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়া, কল্যাণপুর থানার ওসি শুভ্রাংশু ভট্টাচার্জী এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার ১২ জুলাই শিশু কন্যার পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রাবার বাগানের পাশে ঘন জঙ্গলে। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। দিন রাত চলে পুলিশের এই অভিযান। অবশেষে বুধবার ১৩ জুলাই রাতে পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত আমন নায়েক নামে একজনকে গ্রেফতার করে। পিতার নাম লক্ষীন্দ্র নায়েক ।তার বাড়ি পশ্চিম কুঞ্জবন এডিসি ভিলেজের কুমার সর্দার পাড়াতে।
নাবালিকা শিশু কন্যার বাড়ি থেকে বেশি দূর নয় ওই ছেলেটির বাড়ি। গ্রামের মূল সড়কের এপার ওপার। পুলিশ এই ঘটনায় আগেই মামলা নিয়েছিল যার মামলা নং ২৬/২০২২। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬(A) মামলা গ্রহণ করেছিল। এখন ৩০২ দ্বারা যুক্ত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এদিকে খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানান, একটা বাচ্চা মেয়ে প্রথমে মিসিং হওয়া তারপর মৃতদেহ উদ্ধার এটা মর্মান্তিক ঘটনা। দুঃখজনক ঘটনা। সব মামলাই আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি। এই মামলায় আমরা ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। অনেক কেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধৃত আমন নায়েক ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। বাকিটা পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আরো কেউ এই ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের এই সাফল্যে জনমনে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে।