স্কুলস্তরে দাবার গুরুত্ব মুখ্যমন্ত্রীর

 স্কুলস্তরে দাবার গুরুত্ব মুখ্যমন্ত্রীর
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

তামিলনাড়ুতে হতে চলা ৪৪ তম চেস অলিম্পিয়াডের প্রচারে কয়েক ঘণ্টার জন্য আগরতলায় এসে গেল মশাল টর্চ । গোটা দেশের বিভিন্ন শহর পরিক্রমা করছে এই টর্চ । যা বৃহস্পতিবার আগরতলাতেও এসে গেল । দেশের অন্যতম গ্র্যাণ্ডমাস্টার মিত্রাবহ গুহ এ দিন বিকালে গুয়াহাটি থেকে সেই টর্চ নিয়ে আগরতলায় এলেন । পরে বিমানবন্দর থেকে হুড খোলা গাড়ি করে এবং সুসজ্জিত বাইক র‍্যালি করে তা আগরতলার টাউন হলে নিয়ে আসা হয় । রাজ্য যুব কল্যাণ ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে টাউন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেই টর্চ গ্র্যাণ্ডমাস্টার মিত্রাবহ গুহর কাছ থেকে গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহা । সেই টর্চ গতকাল রাতেই আগরতলা ছেড়েছে ।

তা এখান থেকে উড়িশা যাচ্ছে । গত ১৯ জুন থেকে দেশের বিভিন্ন শহর ঘুরছে এই টর্চ । ৪০ দিনে দেশের ৭৫ টি শহর ঘুরে এই টর্চ তামিলনাড়ুর মহাবালিপুরমে যাবে । যেখানে আগামী ২৮ জুলাই থেকে বসছে ৪৪ তম দাবা অলিম্পিয়াড । প্রতিযোগিতাটি চলবে ১০ আগষ্ট পর্যন্ত । ১৯২৭ সালে শুরু হয়েছিল দাবা অলিম্পিয়াড । আর এই প্রথমবার ভারতে হচ্ছে দাবার এই বৃহৎ যজ্ঞ । আয়োজক ভারত । স্বভাবত কারণে এই চেস অলিম্পিয়াড নিয়ে গোটা দেশ উচ্ছ্বসিত । আর এই চেস অলিম্পিয়াডের সাথে এ প্রথমবার সংযোজন হলো মশাল দৌঁড় বা টর্চ রিলে । যা এখন থেকে নিয়মিত হবে ।

চেস অলিম্পিয়াডের প্রচারে আজ আগরতলার সেই টর্চ আসতেই রাজ্যের ক্রীড়া মহলে বিশেষ করে দাবাড়ুদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে । টাউন হলে খেলোয়াড়দের অগণিত সংখ্যার উপস্থিতি তা বুঝিয়ে দিয়েছে । তবে আধঘণ্টা দেরিতে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় টাউন হলে । এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার , পশ্চিম জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন , ক্রীড়া সচিব শরদিন্দু চৌধুরী , রাজ্য এনওয়াইকেএসের অধিকর্তা জবা চক্রবর্তী , অল ত্রিপুরা চেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রশান্ত কুণ্ডু , আন্তর্জাতিক দাবাড়ু অসিয়া দাস , পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার , ক্রীড়া অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা ও গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাবহ গুহ সহ অনেকেই । শুরুতেই গ্র্যাণ্ডমাস্টার থেকে টর্চ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী । চেস অলিম্পিয়াড আসর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহা বলেন , বৃহৎ চেস অলিম্পিয়াড আসর আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে প্রথমবার ভারত । স্বাভাবিক কারণে এটা দেশবাসীর কাছে একটা গর্ব বলা যায় । চেস অলিম্পিয়াডের প্রচারে এই মশাল গোটা দেশ ঘুরছে । আজ আগরতলায় এলো । প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন গোটা দেশকে এক সুতোয় বাঁধা । সেই কাজটা হচ্ছে । আজ টর্চ আগরতলায় আসার মধ্য দিয়ে টর্চ অলিম্পিয়াডের সাথে আমরাও যুক্ত হয়ে গেলাম । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , চেস খেলাটার মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েদের মানসিক বিকাশ ঘটে ।

এতে পড়াশোনারও ভালো হওয়া সম্ভব । খেলাধুলার সাথে পড়াশোনাটাকে সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব এতে । অল ত্রিপুরা চেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন , রাজ্যে স্কুল স্তরে দাবা খেলাটাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন । সরকার রাজ্যে দাবার প্রসার ও প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে । রাজ্যের স্কুলগুলোতে দাবা যাতে চালু করা যায় সেই উদ্যোগ নিতে চেষ্টা করা হবে । অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরাও ভাষণ রাখেন । অনুষ্ঠানে চেস অলিম্পিয়াড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক বার্তা ভিডিও স্কিনে দেখানো হয় । এদিকে আজকের অনুষ্ঠানে জেলাশাসক এবং গ্র্যাণ্ডমাস্টারকে কোনও বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়নি যা নিয়ে উদ্যোক্তাদের ভূমিকায়ও প্রশ্ন উঠেছে । এছাড়া টাউন হলে আজ প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বসার জায়গা নিয়ে ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.