বিপজ্জনক গাছের সারি!!!

 বিপজ্জনক গাছের সারি!!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ অমরপুর-উদয়পুর সড়কের পাশের টিলার উপরে বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বেশকিছু জীবিত ও মৃত গাছ। রাত বিরাতে সামান্য ঝড় তুফান হলেই ওইসব গাছ কিংবা গাছের ডালা ভেঙ্গে সড়কের উপর পরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। চুরান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় যানবাহন চালক সহ যাত্রীদের।  তার থেকেও বিপজ্জনক বিষয় হল, যে কোনো সময় ওইসব ঝুঁকিপূর্ণ গাছ গুলি  ভেঙ্গে যাত্রিবাহী যানবাহন কিংবা বাইক চালকের উপর পরলে জীবন সংশয় হতে পারে । অথচ এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কোন প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ নেই অমরপুর পূর্ত দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিদের এবং মহকুমা বন দপ্তরের কর্মকর্তাদের।

অমরপুর- উদয়পুর সড়কের মহারানী পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে একাধিক স্থানে বেশ কয়েকটি বড়সড় জীবিত ও মৃত গাছ দীর্ঘদিন যাবত বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রধান সড়কের একেবারে লাগোয়া টিলার উপর গাছগুলি এমন বিপদজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে যেকোনো সময় যাত্রীবাহী যানবাহন কিংবা বাইক চালক সহ পথচারীদের উপর ভেঙ্গে পরতে পারে। আর এটা ঘটে গেলে জীবন সংশয়ের ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। বর্ষার মরশুমের শুরুতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দিন রাত বিরাতে অমরপুর-উদয়পুর সড়কের মহারানী পর্যন্ত সড়কের বেশকিছু স্থানে গাছের ডালা ভেঙ্গে ও বড়সর গাছ সহ সড়কের পাশের টিলার মাটি ধ্বসে পরে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে থাকে।

তারপরেও অদ্যবধি হুস ফেরেনি পূর্ত কর্তাদের।কোন প্রকার হেলদোল নেই মহকুমা বনদপ্তরের আধিকারিকের। থাকছড়ার বাগানছড়া পাকা সেতু সংলগ্ন বীরগঞ্জ থানার আরক্ষা কর্মীদের নাকা পয়েন্টের পাশে রয়েছে মহকুমা বনদপ্তরের সংরক্ষিত শাল বাগান। অমরপুর-উদয়পুর সড়কের মিটার খানেক দুরত্বে অবস্থিত টিলার উপরের শালবাগানটি বহু পুরাতন বাগান। সড়কের লাগোয়া স্থানে বহু পুরানো ওই শাল বাগানের বেশকিছু গাছের নিচের ভুমি ক্ষয়ের কারনে গোড়ার মাটি ধ্বসে গিয়ে শিকর বাকর বেড়িয়ে গিয়ে অনেকটা শুন্যে ঝুলে থাকার মত বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক অনুরূপ অবস্থা ওই সড়কের মহারানী পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানের বাকের মুখে । সামান্য ঝর তুফান হলেই ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ পরে,গাছের ডালা ভেঙ্গে পরে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।কখনো কখনো আবার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকছে। যানবাহন চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ওই সড়কে যাতায়াত করছেন। ওই সড়কের উপর দিয়ে হামেশাই মন্ত্রী, বিধায়ক এবং পূর্তদপ্তরের কর্তাব্যাক্তিরা সহ মহকুমা বন দপ্তরের কর্তারা আসাযাওয়া করলেও কারোই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। এই বিষয়ে জানার জন্য অমরপুর বন দপ্তরের এসডিএফও যশপাল দেববর্মার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গাছগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় থাকলেও কিংবা কারোর উপর ভেঙ্গে পরে প্রানহানীর মত ঘটনা ঘটে গেলেও ওনার কিছুই করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইচ্ছে করলেও গাছগুলি কাটতে পারবেননা বলে এসডিএফও জানান। তবে জনস্বার্থে কেউ ওইসব বিপজ্জনক গাছগুলি কাটার জন্য আবেদন করলে এসডিএফও বিষটি বনদপ্তরের উর্ধতন কতৃপক্ষের গোচরে নেবেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া গেলে তবেই বিপজ্জনক গাছ গুলি কেটে ফেলার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে বলে এসডিএফও জানিয়ে দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি খাস ভূমির বনাঞ্চলের গাছ যখন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জোত ভূমির গাছ বলে কেটে ফেলা হয় এবং সেই গাছের লগ যখন বনকর্তারা দপ্তরের হেমার মেরে সিলমোহর দিয়ে আইন সিদ্ধ করে দেন, তখন অতশত আইন কানুনের প্রতিবন্ধকতা কোথায় থাকে ? লগ ব্যবসায়ীদের ছাড়া কেই-বা ওইসব গাছকাটার জন্য জনস্বার্থে আবেদন করতে যাবে। আর পূর্ত কর্তাদের এত সময় আছে নাকি। যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে তখনই পূর্ত কর্তাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হবে। কার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিস্তার পাওয়া যাবে সেই রাস্তা খুঁজতে ব্যস্ত হবেন। একই বিষয়ে জানার জন্য অমরপুর পূর্ত দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নির্বাহী বাস্তুকারের অফিস থেকে বলা হয়েছে ওনি ছুটিতে রয়েছেন। ফলে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ গুলি নিয়ে পূর্ত কর্তাদের ও বন কর্তাদের চরম উদাষিনতায় যানবাহন চালক সহ যাত্রী সাধারনের মধ্যে ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে।


  

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.