রাজ্যের গ্যাস বিপননে বড়সড় চুক্তি সম্পাদন
দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ রাজ্যের ভূমি থেকে উত্তোলিত গ্যাস বিপননে বড়সড় চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ওএনজিসি, গেইল এবং আসাম গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে।
গত ২১জুলাই বৃহস্পতিবার আগরতলার বাধারঘাটস্হিত ওএনজিসি কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে উল্লিখিত তিনটি পাবলিক সেক্টর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নির্বাহীদের উপস্থিতিতে ওই চুক্তি সম্পাদন হয়েছে।
রাজ্যের উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার জলেবাসা মৌজার খুবাল গ্যাস কূপ থেকে উৎপাদিত গ্যাস বিক্রয়ের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত(জিএসএ) হয়েছে ওএনজিসি,গেইল এবং আসাম গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে। গ্যাস বিপনন চুক্তি পত্রে ওএনজিসির পক্ষে ত্রিপুরা অ্যাসেটের অ্যাসেট ম্যানেজার তরুণ মালিক,আসাম গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোকুল চন্দ্র স্বর্গিয়ারি এবং গেইলের পক্ষে সিজিএম জোনাল হেড আর চৌধুরী চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
রাজ্যের উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার জলেবাসা মৌজার খুবাল গ্যাস কূপ থেকে উত্তোলিত গ্যাসের বিপননে চুক্তি পত্র স্বাক্ষরিত হওয়া একটি বড় পদক্ষেপ বলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের অভিমত। খুবাল কূপটি ত্রিপুরা রাজ্যে ওএনজিসি অ্যাসেটের দশম গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র। ২১ জুলাই স্বাক্ষরিত চুক্তির অন্যতম দিক হল, ওএনজিসি খুবাল কূপের উৎপাদিত গ্যাস থেকে প্রতিদিন গেইল এবং এজিসিএল উভয়ের নিকট পঞ্চাশ হাজার স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করা হবে। যার জন্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে মোট ০.১ এমএমএসসিএমডিতে দাঁড়াবে।
ইতিমধ্যেই খুবাল গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ০.৪৪ এমএমএসসিএমডি গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ করার ক্ষমতা সম্পন্ন নির্মাণ প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে বলে ওএনজিসির তরফে জানানো হয়েছে।
ওই চুক্তি পত্র সম্পাদনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওএনজিসি ত্রিপুরা অ্যাসেটের নির্বাহী অধিকর্তা ও অ্যাসেট ম্যানেজার তরুণ মালিক বলেন, এই চুক্তি শুধুমাত্র ওএনজিসি, গেইল এবং এজিসিএলের জন্য নয়। ওই চুক্তি পত্র স্বাক্ষরিত হওয়ায় ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বের জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, রাজ্যের উত্তোলিত গ্যাস তার প্রকৃত পথ খুঁজে পাবে।বর্তমান সময়ে প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্প বানিজ্য এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে বলে মন্তব্য করেন অ্যাসেট ম্যানেজার। ওএনজিসি ত্রিপুরায় বিভিন্ন গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্রগুলি থেকে আরও বেশি পরিমাণে গ্যাস উৎপাদনের করে এবং এজিসিএলের পাইপলাইন স্থাপনের মাধ্যমে সংযোগ প্রদান করে স্থানীয় উদ্যোগ পতিদের ব্যবসা ও শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়ে আগামী বছরগুলিতে রাজ্যের অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে বলেও ওএনজিসি ত্রিপুরা অ্যাসেটের অ্যাসেট ম্যানেজার তরুণ মালিক দৃঢ় আসা ব্যক্ত করেন।
গ্যাস ক্ষেত্রে এজিজিএল এই অঞ্চলের গেম-চেঞ্জার হবে। , বিপনন চুক্তি সম্পাদনার ফলে এই অঞ্চলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলেও অ্যাসেট ম্যানেজার আসা ব্যক্ত করেন। ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদিত হওয়ায় এবং ওএনজিসিকে ধারাবাহিক ভাবে সমর্থনের জন্য গেইল এবং এজিসিএল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান অ্যাসেট ম্যানেজার তরুণ মালিক।
অনুষ্ঠানে ওএনজিসি ত্রিপুরার উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি থেকে শক্তিশালী গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সম্ভাবনার বিষয়ে এবং বিশেষ করে ত্রিপুরায় ওএনজিসির সাথে এজিসিএলের এটাই প্রথম সাক্ষরিত চুক্তি তথা জিএসএ। চুক্তি সম্পাদিত হওয়ায় এক নূতন সম্পর্কের সূচনা হয়েছে যা আগামীদিনের জন্য মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে এজিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোকুল চন্দ্র স্বর্গিয়ারি আসা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে গেইলের জোনাল হেড আর চৌধুরী বলেন, খুবালের কূপ থেকে উৎপাদিত গ্যাস বিপননের জন্য ওএনজিসি ও গেইলের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হওয়ায় উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের আরেকটি ধাপের চেয়েও বেশি কিছু উন্মোচিত হল। , যার ফলে দেশের বাকি অংশের সাথে এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান একীকরণের পথ আরও প্রসারিত হলো। জাতি গঠনে ওএনজিসির অবদানের ভুয়োসী প্রশংসা করে তিনি বলেন, গেইল সর্বদাই ওএনজিসির সাথে সম্পর্ককে গৌরবের সম্পর্ক হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। গেইল সংস্থা গ্যাস বিপণনকারী হিসাবে সর্বদাই ওএনজিসির প্রতি তাদের সহায়তার হাত প্রসারিত করে রেখেছে বলেও গেইলের জোনাল হেড আর চৌধুরী দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বস্ত করে বক্তব্য রাখেন। ওএনজিসির ত্রিপুরা অ্যাসেটের পিআরও মনিশ ভুঁইয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদ জানান।