অনন্য কৃতিত্ব স্থাপন করলেন কলকাতার ডাক্তাররা

 অনন্য কৃতিত্ব স্থাপন করলেন কলকাতার ডাক্তাররা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

এক – দু’দিন নয় । টানা ২৩ বছর ধরে মাথার ভেতর বুলেট নিয়ে ঘুরছিলেন এক ব্যক্তি । অবশেষে মঙ্গলবার অপারেশন করে সেই বুলেট বের করলেন কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা । স্বস্তি ফিরেছে গোটা পরিবারে । ১৯৯৮ সালে , যখন ওই ব্যক্তির মাথায় গুলী লেগেছিল তখন তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । মাসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন । সেই সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি । টিভি দেখার সময় খুড়তুতো দাদা হঠাৎ খেলার ছলে তার এয়ারগান দিয়ে বাঁ কানের উপরে ট্রিগার টিপে দিয়েছিল । আর তাতেই বিপত্তি । বাঁদিকে মাথা ভেদ করে গুলী ঢুকে গেলেও তা বেরোতে পারে নি । একেবারে অপটিক নার্ভের কয়েক সুতো দূরেই রুখে গিয়েছিল গুলীর গতি ।তারপর থেকে মাথাতেই থেকে যায় গুলী । সেইসময় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে একেবারে যমে মানুষে টানাটানি চলেছিল প্রায় সপ্তাহ দুয়েক । চিকিৎসকরা আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন । পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি । সেই অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক , স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় বসেছেন এবং কৃতিত্বের সঙ্গে পাশও করেছেন । এখন একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি করেন তিনি । ২০১৩ সালে বিয়েও করেছেন । আপাতত দুই সন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার । হঠাৎ মাসখানেক যাবৎ ফের শুরু হয় মাথা যন্ত্রণা সঙ্গে খিঁচুনি । মাঝেমধ্যেই কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল । যে চিকিৎসক সেই সময় তাকে দেখেছিলেন সেই ভগবতীচরণ মোহান্তি তাকে ফের দেখলেন । এরপরই শুরু হয় অপারেশনের পরিকল্পনা । তৈরি হয় চিকিৎসকদের টিম । নিউরো নেভিগেশন যন্ত্রের মাধ্যমে একেবারে সফল অপারেশন । অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি সম্পর্কে ভগবতীবাবু জানালেন নিউরো সেই নেভিগেটের যন্ত্রের মাধ্যমে ঠিক যে জায়গায় গুলীটি আটকে ছিল জায়গাতেই এক মিলিমিটারের ছিদ্র করে বুলেট থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়েছে । একেবারে অত্যাধুনিক এই যন্ত্রের মাধ্যমে মাথার খুলির ভিতর কোন অবাঞ্ছিত বস্তু আটকে থাকলে শুধুমাত্র ওই বস্তুটিকে বের করতে যতটুকু জায়গা কাটতে হয় সেইটুকু জায়গাতেই অস্ত্রোপ্রচার করা হয় । ওই চিকিৎসকদলের আরেক সদস্য অধ্যাপক সৌমিত্র পাল জানিয়েছেন , ‘ আমাদের ভাগ্য ছিল সুপ্রসন্ন যে ২৩ বছরেও বুলেটটি মাথার ভেতরে গিয়ে কোন অক্সাইড গঠন করতে পারেনি । যদি অক্সাইড গঠন করতো তাহলে এতদিনে ব্যক্তিটির সেপ্টোসিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল । চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ ওই স্কুল শিক্ষক । নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা । ১৯৯৮ সালে যখন এসএসকেএমে তার চিকিৎসা চলছিল তখনই চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন । কিন্তু সেই সময় অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার না হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল মাথার খুলির বেশ কিছুটা অংশ কেটে বুলেটটিকে বার করতে হবে আর তাতেই বাড়তি রক্তক্ষরণে মৃত্যুর আশঙ্কা করেছিলেন সেই সময়ের চিকিৎসকরা । তাই ওই কিশোরের মায়ের আপত্তি আর আশঙ্কায় ২৩ বছর আগে অস্ত্রোপচার করা হয়নি গুলীবিদ্ধ কিশোরের । সেইদিনের কিশোর আজ শিক্ষক । আর ২৩ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে সেদিনের কিশোর মাকে অস্ত্রোপচারে হারিয়েছেন । গত বছর মারা গিয়েছেন তিনি । অবশেষে রাজি হয়ে যান ওই স্কুল শিক্ষক । ভগবতীবাবু বললেন , ‘ এক্সরে প্লেট দেখে আঁতকে উঠেছিলাম । পুরনো এক্সরে প্লেটটা সেজন্য রোগীকে আনতে বলেছিলাম । বলেছিলাম । দুটো দুটো প্লেট দেখলাম গত ২৩ বছরেও এক চুলও সরেনি বুলেটটি । যে জায়গায় ১৯৯৮ সালে বুলেটটি ছিল , ২০২২ সালেও ঠিক সেই জায়গায় জায়গাতেই বসে রয়েছে বুলেটটি। ‘ চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ ওই স্কুল শিক্ষক । নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা । ১৯৯৮ সালে যখন এসএসকেএমে তার চিকিৎসা চলছিল তখনই চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন । কিন্তু সেই সময় অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার না হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল মাথার খুলির বেশ কিছুটা অংশ কেটে বুলেটটিকে বার করতে হবে আর তাতেই বাড়তি রক্তক্ষরণে মৃত্যুর আশঙ্কা করেছিলেন সেই সময়ের চিকিৎসকরা । তাই ওই কিশোরের মায়ের আপত্তি আর আশঙ্কায় ২৩ বছর আগে অস্ত্রোপচার করা হয়নি গুলীবিদ্ধ কিশোরের । সেইদিনের কিশোর আজ শিক্ষক । আর ২৩ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে সেদিনের কিশোর তার মাকে হারিয়েছেন । গত বছর মারা গিয়েছেন তিনি । অবশেষে রাজি হয়ে যান ওই স্কুল শিক্ষক । ভগবতীবাবু বললেন , ‘ এক্সরে প্লেট দেখে আঁতকে উঠেছিলাম । পুরনো এক্সরে প্লেটটা সেজন্য রোগীকে আনতে বলেছিলাম । দুটো প্লেট দেখলাম গত ২৩ বছরেও এক চুলও সরেনি বুলেটটি । যে জায়গায় ১৯৯৮ সালে বুলেটটি ছিল, ২০২২ সালেও ঠিক সেই জায়গায় জায়গাতেই বসে রয়েছে বুলেটটি।’

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.