রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
স্বাধীনতা দিবসে উপেক্ষিত স্বাধীনতা সংগ্রামীরাঃ কংগ্রেস
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতেই সোমবার সন্ধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে কংগ্রেস । মূলত ‘৭৫ বছরে আমরা কী পেলাম ‘ এ নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা হয় প্রদেশ নেতৃত্বদের মধ্যে । পরে দলের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপি শাসিত জোট সরকারের উদ্দেশে বুধবার একগাদা প্রশ্ন ছুড়ে দেন । এদিন তার মূল প্রশ্ন ছিল , ‘ কোথায় গেলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ? প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন , ‘ এমন একটা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যেন নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা সংগ্রামী । এখানকার সমস্ত মন্ত্রীরা স্বাধীনতা সংগ্রামী । কোথাও একটিও তো ফ্ল্যাগ ফেস্টুন কিংবা ব্যানারে দেখা গেলো না স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি । যারা এই স্বাধীন ভারতবর্ষকে উপহার দিতে গিয়ে বলিদান হয়েছেন ! বরং গোটা শহর এমনকী নানা অলিগলি পর্যন্ত নেতা – মন্ত্রীদের ছবি দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় । তাঁর কথায় , এটি নিঃসন্দেহে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপেক্ষা করার শামিল । অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে তাদের প্রতি । কংগ্রেস বিধায়ক বলেন , সেদিন লালকেল্লায় ৮২ মিনিটের যে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী তাতেও উপেক্ষিত ছিলেন । স্বাধীনতা সংগ্রামীরা । আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের নামে ‘ মুখিয়া বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মানুষের ভাবাবেগকে উসকে দিয়ে নির্বাচনি ফান্ড গড়েছেন’- মন্তব্য বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের । তাঁর কথায় , তিনদিনব্যাপী আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানেই ছিলো না কোনও নতুনত্ব । ‘ বরং যারা স্বাধীনতার ৫২ বছর পর্যন্ত তিরঙ্গাকে বিরোধিতা করে এসেছে , তারাই এখন দেশপ্রেমী হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইছে । আসলে এসবই চমক ছাড়া আর কিছুই নয় ’ বলে মন্তব্য করেন সুদীপ । এ দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহাকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানান , স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে অন্তত নতুন কোনও করলেন প্রকল্প কিংবা অঙ্গীকার চাইছিলো মানুষ । কিন্তু তা না হয়ে শূন্যপদ পূরণ , স্বাস্থ্যবিমা , এসবের কথাই মানুষ আবারও শুনলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে । যা এর আগেই মানুষ জানতে পেরেছেন । বিধায়ক শ্রীবর্মণ আরও বলেন , যে ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করে মহাকরণে পতাকা উত্তোলন মুখ্যমন্ত্রী , তার থেকে কী ১৭ হাজার টাকাও বরাদ্দ করা যায়নি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ! না হয় কেনই বা এই রাজধানীতে বিশ্বকবিকে পুরানো মালা পরিহিত অবস্থায় দেখতে হলো স্বাধীনতা দিবসে ? এমনকী চিলড্রেন্স পার্কের সামনে স্বামী বিবেকানন্দ , আরও অন্যান্য স্থানে মাস্টার দা সূর্যসেন এবং এমন বহু মূর্তির গায়েই ঝুলতে দেখা গিয়েছে পুরানো মালা । শ্রী বর্মণের প্রশ্ন , স্বাধীনতা দিবসে খুব স্বাভাবিকভাবেই খুমুলুঙে একটি জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যেতো । ১৩ থেকে ১৫ আগষ্টের মধ্যে কোনও একদিন সাংবাদিক অসাংবাদিক কর্মী , সম্পাদক কিংবা কর্ণধারদের নিয়েও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতো । কিন্তু এর একটিও না করে তিনদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান মঞ্চে একই কথার চর্বিতচর্বণ করেন নেতা – মন্ত্রীরা । তিনি আরও বলেন , আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের নামে আসলে নোংরা রাজনীতি করা হয়েছে । বহু জায়গায় জাতীয় পতাকার অবমাননা পর্যন্ত করা হয়েছে । এ দিন স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরকে উপেক্ষা করায় সরকারের উঁচু থেকে নিচু স্তর পর্যন্ত সকলের হয়েই বীর শহিদদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি । এদিকে , পুলিশ মহা নির্দেশক অফিস থেকে গত পনেরো আগষ্ট ফাইল চুরি যাওয়া নিয়ে কংগ্রেস বিধায়কের দাবি , উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতিকে দিয়েই গোটা ঘটনার তদন্ত করাতে হবে । তাঁর প্রশ্ন , কী করে এতো বিশাল সংখ্যক ফাইল চুরি গেলো পুলিশ মহানির্দেশকের মতো কার্যালয় থেকে ? একে গায়েব করানো হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি । কারণ তাঁর যুক্তি , ‘ অ্যাকশন নিলেই ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়বে । ‘