অমরপুর বিদ্যুৎ অফিসে ভাঙচুর, প্রবল উত্তেজনা!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন, অমরপুরঃ গত দুই/তিন দিন ধরেই মহকুমার কাউয়ামারা ও তুত বাগান এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা উধাও। এই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষুব্দ এলাকাবাসী শুক্রবার রাত সোয়া দশটা নাগাদ পনেরো কুড়িটি বাইকে চেপে এসে বিদ্যুৎ নিগমের অমরপুর মোটর স্ট্যান্ডস্হিত উপভুক্তি অফিসে দফায় দফায় হামলা চালায় ও কল সেন্টারে ঢুকে যাবতীয় আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। সেখান থেকে উত্তেজিত জনতা অমরপুর গোবিন্দ টিলাস্হিত ৬৬ কেভি ট্রান্সমিশন সাবষ্টেশানে ঢোকার চেষ্টা করে।
ঠিক তখনই বীরগঞ্জ থানার ওসি জয়ন্ত দাস টিএসআর নিয়ে ৬৬ কেভি সাবষ্টেশানে পৌছান। ফলে বিক্ষুব্ধ জনতা সাবষ্টেশানে ঢুকতে ব্যর্থ হয়। পুলিশ ও গোবিন্দ টিলার এলাকাবাসীদের প্রতিরোধের মুখে ক্ষুব্দ জনতা আধঘন্টা যাবত ওই স্হানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পর সেখান থেকে পুনরায় মোটর স্ট্যান্ডস্হিত উপভুক্তি অফিসের সামনে এসে সিনিয়র ম্যানাজারের খোঁজ করে এবং কোয়ার্টার কোথায় জানতে চায়। সিনিয়র ম্যানাজারের খোঁজ না পেয়ে পুনরায় উপভুক্তি অফিসে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেডের ফলে অফিসে ঢুকতে পারেনি। অফিসের সামনে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তুত বাগান অভিমুখে ফিরে যায়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোটর স্ট্যান্ড ও গোবিন্দ টিলায় বসবাস কারী সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে সিনিয়র ম্যানাজারের বক্তব্য, ঝর বৃষ্টির ফলে একটি গাছের ডালা পরে তুতবাগান এলাকার এসটি লাইনের তার ছিড়ে গেছে। উপভুক্তিতে বিদ্যুৎ কর্মীর সল্পতার মধ্যেও শুক্রবার দিনভর ওই এসটি লাইন সারাইয়ের কাজ করা হয়েছিল। কিন্ত রাত হয়ে যাওয়ায় লাইন সারাইয়ের কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে তুতবাগান এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি। আর এনিয়েই যত বিপত্তির সৃষ্টি বলে সিনিয়র ম্যানাজারের বক্তব্য।