কবর দেখা শখ, খরচ করেছেন কোটি টাকা!!

 কবর দেখা শখ, খরচ করেছেন কোটি টাকা!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

পৃথিবীতে বিচিত্র শখের মানুষের অভাব নেই । আর কথায় আছে ; ‘ শখের তোলা আশি টাকা ‘ । তাই শখ পূরণের জন্য মানুষ বিচিত্র সব কাজ করেন । এই দলে রয়েছেন । মার্ক ড্যাবস । ঘুরে ঘুরে কবর দেখা যার শখ । এজন্য তিনি খরচ করেছেন কোটি টাকা । মার্ক ড্যাবস গ্রেট ব্রিটেনের উলভারহাম্পটনের বাসিন্দা । বিশ্বের প্রায় ৭০০ কবরস্থানে ঘুরেছেন । সিয়াটলে ব্রুস লি , চিনের চেয়ারম্যান মাও সে তুঙ , ওয়াসিংটন ডিসিতে জন এফ কেনেডি থেকে শুরু করে লস অ্যাঞ্জেলেসে ম্যারিলিন মনরো ; প্রায় ২০০ জন তারকা ব্যক্তির কবর তার দেখা । এজন্য তিনি খরচ করেছেন প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার ইউরো , ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা । ড্যাবসের দাবি , স্কুলে ইতিহাসের যখন ক্লাস চলত আর সেই ক্লাসে যখন মাওসে তুঙে থেকে শুরু করে কেনিডির জীবনচর্চা আলোচনা হতো তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইতিহাসের বইয়ের পাতায় পড়া মানুষগুলোর শেষকৃত্য স্থান নিজের চোখে দেখতে যাবেন । এই শখের মাধ্যমে তিনি ইতিহাসকে আরও কাছ থেকে দেখেছেন । যে চরিত্রগুলো শুধুই বইয়ের পাতায় পড়েছেন , এবার সেই চরিত্রগুলোকে কার্যত চোখের সামনে দেখার উপলব্ধি করেছেন তিনি । আর এই শখ পূরণ এখনই শেষ করতে চান না তিনি । ৪৯ বছর বয়সি মার্ক ড্যাবস বলেছেন , ‘ তিনজন প্রধানমন্ত্রী , যাদের কবর দেওয়া হয়নি , তারা ব্যতীত প্রায় সব প্রধানমন্ত্রীর কবর আমি দেখেছি । অ্যাথলেট স্যার রজার ব্যানিস্টার , অক্সফোর্ডে তার কবর দেখার অভিজ্ঞতা চমৎকার ছিল । কবি রবার্ট বার্ন , রেসিং ড্রাইভার জিম ক্লার্ক এবং পিটার প্যানের লেখক জে . এম ব্যারিকে ছাড়া স্কটল্যান্ড অসম্পূর্ণ । ইতিহাস ও সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমাকে ভীষণ টানে । ইতোমধ্যে চার্চিল ও রুজভেল্টের কবর দেখেছি । স্ট্যালিনের কবর দেখার জন্য ফের মস্কো যেতে চাই । ‘ তবে শুধু কবরস্থান নয় হিন্দুদের শেষকৃত্য যেমন শ্মশান ঘাটে হয় আর সেই জন্য নির্মাণ করেছিল সমাধিস্থল তাও পরিদর্শন করেছেন তিনি । এসেছেন ভারতে , দেখে গিয়েছেন গান্ধীঘাট । মহাত্মা গান্ধীর শেষকৃত্যস্থলে এসে মাথা নত হয়ে গিয়েছিল তার । তেমনি ইন্দিরা গান্ধীকে যে জায়গায় গুলি করে হত্যা করেছিলেন তারই দেহরক্ষী সবন্ত সিংহরা সেই স্থানে ঘুরে গিয়েছেন । তিনি । তিনি জানান , তার এই ঘুরে ঘুরে কবর দেখার অভিজ্ঞতা অনেক মজার হয় । মাঝে মাঝে তা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যায় । তার ভাষায় , ‘ একবার ছবি তোলার জন্য লোহার মই বেয়ে উঠতে গিয়ে সেটি ভেঙে যায় । মনে হয়েছিল , অনেক সময় আটকে থাকতে হবে । তবে ট্রাইপড কাজে লাগিয়ে বের হতে পেরেছিলাম ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.