জনজাতি উন্নয়নের বাস্তব ছবি!!!

 জনজাতি উন্নয়নের বাস্তব ছবি!!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি, ঋষ্যমুখ।। সরকার আসে সরকার যায়, বছর ঘুরে যুগ পেড়িয়ে যায়। কিন্তু রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী জনজাতিদের দিন আর ফিরেনা। এমনই নানা সমস্যায় ধুঁকছে ঋষ্যমুখ ব্লক এলাকার জনজাতি এলাকার জনগণ। পানীয় জল থেকে শুরু করে গ্রামীণ যোগাযোগ অবস্থা বেহাল। গত সারে বছরেও গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন আশানুরূপ হয়নি। বিশেষ করে পানীয় জলের সমস্যায় রীতিমত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার জনগণ। এলাকার জনগণ বারবার উর্দ্ধতন মহলে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি।এই নিয়ে গ্রামীণ এলাকার জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু হাল ফেরেনা জনজাতীদের।পানীয় জলের অভাবে আজও ধুঁকছে ঋষ্যমুখ ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন জনজাতি এলাকা গুলি। বাধ্য হয়ে এলাকার জনগণ বিভিন্ন নালা, ড্রেইন, ছড়ার নোংরা জল পান করে কোনওমতে বেঁচে আছে। কোথাও নোংরা গর্ত থেকে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে জনজাতি মা বোনদের।ফলে জল বাহিত নানান রোগে ভুগছে এই জনজাতিরা। এমনই চিত্র ফুটে উঠলো ঋষ্যমুখ ব্লক এলাকার রতনপুর এডিসি ভিলেজের শত্রুঘ্ন উচাই পাড়া এবং দক্ষিণ সোনাইছড়ির বল্লি পাড়ায়।এখানকার জনজাতিদের দাবি রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘর ভালো থাকার দরকার নেই, দরকার শুধু পানীয় জলের।

কারণ জলই জীবন। জল পেলে জীবন বাঁচবে। আমাদের জীবনটাকে বাঁচিয়ে রাখে জল। যদিও রাজ্য সরকার হর-ঘর জল কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জোর তৎপরতা শুরু করেছে।কিন্তু এই জনজাতি এলাকাগুলিতে বাস্তব চিত্র কিন্তু উল্টো। রাজ্য সরকারের জল জীবন মিশন প্রকল্পে কাজ চললেও এই এলাকাগুলো কিন্তু তার থেকে শত যোজন দূরে।  শত্রুঘ্ন উচাই পাড়া এবং বল্লি পাড়া এই দুইটি এলাকায়  প্রায় ৭০ থেকে ৮০ পরিবারের বসবাস। তাদের ড্রেইনের নোংরা জল খেয়ে জীবনধারণ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

একই অভিযোগ, এডিসির তিপ্রা মথা সরকারের ভূমিকাও। জনজাতিদের জন্য এবং জনজাতি এলাকা উন্নয়ন এর জন্য গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিলেও, প্রায় দুই বছর হতে চললো কাজের কাজ কিছুই করেনি তিপ্রা মথা দল। তাই ক্ষোভে ফুঁসছে জনগণ। এই এলাকাগুলি পূর্ব মুহুরী ভুরাতলী কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এখানকার এমডিসি তিপ্রা মথা দলের দেবজিৎ ত্রিপুরা। ভোটে জেতার পর গিরিবাসীদের সমস্যা জানতে একদিনও এলাকায় আসেনি বলে অভিযোগ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.