বিস্ফোরক অভিযোগ অভিভাবকদের, মোটা টাকা দিয়ে চান্স পেয়েছে ৬ জন!!

 বিস্ফোরক অভিযোগ অভিভাবকদের, মোটা টাকা দিয়ে চান্স পেয়েছে ৬ জন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

করোনার সৌজন্যে ২০২০ এবং ২০২১ সিজনে অনূর্ধ্ব ১৬ ছেলেদের তিনদিনের বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি ক্রিকেটের আয়োজন করতে পারেনি বিসিসিআই । তবে এবার তিন বছর পর হচ্ছে অনূর্ধ্ব ১৬ ছেলেদের তিনদিনব্যাপী বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি । বিসিসিআই ইতিমধ্যে অনূর্ধ্ব ১৬ ছেলেদের বিজয় মার্চেন্ট ট্রফির শুরুর দিন এবং গ্রুপ বিন্যাস ঘোষণা করে দিয়েছে । আগামী ১ লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি । অনূর্ধ্ব ১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে ত্রিপুরাকে রাখা হয়েছে এফ গ্রুপে । ত্রিপুরার গ্রুপে রয়েছে ওড়িশা , মধ্যপ্রদেশ , মহারাষ্ট্র , আসাম এবং সিকিম । ঘটনা হচ্ছে , বিসিসিআইর সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী ত্রিপুরার অনূর্ধ্ব ১৬ টিম কিন্তু ৩০ নম্বরে । অনূর্ধ্ব ১৬ এলিটে ৩০ টি দলের মধ্যে ত্রিপুরা ৩০। অর্থাৎ অনূর্ধ্ব ১৬ জাতীয় ক্রিকেটে এলিটে ত্রিপুরা লাস্ট বয় । ত্রিপুরার নম্বর যেহেতু সবার শেষে তাই প্রত্যাশা ছিল এবার অনূর্ধ্ব ১৬ দল নিয়ে টিসিএ সঠিক নজরদারি এবং যোগ্যদের নিয়ে দল গঠনে যাবে । কিন্তু আমাদের কাছে যে অভিযোগ এসেছে তা যদি সত্যি হয় তবে তা কলঙ্ক এবং টিসিএর বর্তমান কমিটির যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য । ত্রিপুরার অনূর্ধ্ব ১৬ ছেলেদের টিম ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আগরতলায় বোর্ডের শেষ জাতীয় ক্রিকেট খেলেছে । ৩৭ মাস পর ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ফের বোর্ডের অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেট খেলবে ত্রিপুরার ছেলেরা । তবে অভিযোগটা অন্য জায়গায় এবং তা মারাত্মক । ত্রিপুরার অনূর্ধ্ব ১৬ টিমের সম্ভাব্য দল গঠনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন অভিভাবক । তাদের নিশানায় টিসিএর একজন কর্মী যিনি শহরের একটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের বকলমে মালিক কাম কোচ । অভিভাবকদের তরফে অভিযোগ , অনুর্ধ্ব ১৬ রাজ্যদল গঠনের জন্য যে সম্ভাব্য দল ঘোষণা করা হয়েছিল প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য , সেই সম্ভাব্য দলে ছয়জন এমন ক্রিকেটার আছে যারা নাকি টাকার বিনিময়ে পেছনের দরজা দিয়ে চান্স পেয়েছে । অভিভাবকদের দাবি , ট্রায়াল ক্যাম্পের জন্য নাকি প্রথমে ৩০ জনকে বেছে নেওয়া হয় । কিন্তু পরবর্তী সময়ে টিসিএ থেকে ওই তালিকায় আরও ছয়জনের নাম সহ ৩৬ জনের নাম প্রকাশ করা হয় । অভিভাবকদের স্পষ্ট অভিযোগ , টিসিএর এমবিবি মাঠের কর্মী তথা আগরতলা শহরের একটি কোচিং সেন্টারের কোচ কাম মালিকই গোটা কাণ্ডের আসল কারিগর । টিসিএতে প্রভাব খাটিয়েই নাকি তিনি ৩০ জনের তালিকায় অতিরিক্ত ৬ জনের নাম যুক্ত করেছেন । অভিভাবকদের অভিযোগ , এই কাজে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন হতে পারে । তাদের কাছে নাকি চান্স পাওয়া ছেলেদের অভিভাবকরা দাবি করেছেন যে , মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েই তাদের ছেলেদের সম্ভাব্য ৩৬ জনের টিমে চান্স হয়েছে । আরও অভিযোগ , এখনও কয়েকজন অভিভাবক নাকি টাকা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের ছেলেদের চূড়ান্ত টিমে চান্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য । অভিভাবকদের অভিযোগ , টিসিএর কর্তাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগের খবর নেই তা কিন্তু নয় । কিন্তু কর্তাদের ম্যানেজ করার নানা ঘটনা নাকি ঘটে চলছে । ফলে টিসিএর বর্তমান কমিটির কাছ থেকে কোনও সুবিচার বা বিচার বা নিরপেক্ষতা নাকি এখন আশা করেন না তারা – দাবি অভিভাবকদের ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.