টিসিএ মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি আজ
প্রকাশ্য দিবালোকে পশ্চিম আগরতলা থানার নাকের ডগায় টিসিএ অফিসে হামলা ও সংস্থার কর্মীদের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণের মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি আগামী ছয় সেপ্টেম্বর । পুলিশের পক্ষ থেকে মোট চৌদ্দজনের নামে মামলা করা হয়েছে । জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম শ্রেণী কোর্ট নম্বর দুই – এ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ছয় সেপ্টেম্বর । পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি ধারায় এই মামলা করা হয়েছে । মোট চৌদ্দজন অভিযুক্তের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট এগারোজন জামিন নিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে খবর । তবে এই মামলার অন্যতম ঘটনা হলো পুলিশ যে চৌদ্দজনের নামে টিসিএ অফিসে হামলা ও কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছে সেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কিশোর কুমার দাস । এই কিশোর কুমার দাস এখন টিসিএর যুগ্ম সচিব কাম ইনচার্জ সচিব । অভিযোগ , ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাজ্যে সরকার বদলের পর পেছনের দরজা দিয়ে একপ্রকার বেআইনি ও অবৈধভাবে টিসিএর ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে নানা অপচেষ্টা শুরু হয় । এরপর তেইশ নভেম্বর প্রশাসকের সময়ে টিসিএ অফিসে হামলা করা হয় । হামলাকারীদের যিনি নেতৃত্ব দেন বলে সেদিন থানায় অভিযোগ করা হয় তিনি টিসিএর বর্তমান যুগ্ম সচিব কিশোর কুমার দাস । অবশ্য দেরিতে হলেও ২০২১ সালে পুলিশ আদালতে মামলা করে । জানা গেছে , ততক্ষণে শাসকদলের নেতৃত্বের ইচ্ছাতে কিশোর কুমার দাস টিসিএর যুগ্ম সচিব পদে । অভিযোগ , পুলিশ নাকি টিসিএতে হামলার ঘটনায় কিছু তথ্য চেয়ে টিসিএতে চিঠি দিলেও টিসিএর তৎকালীন সভাপতি নাকি পুলিশি তদন্তে কোনও সাহায্যই করেননি। যদিও টিসিএতে হামলার সিসি টিভির ফুটেজ নাকি ততক্ষণে পুলিশের হাতে চলে গিয়েছিল । তদন্তে টিসিএর সহযোগিতা না পেলেও পুলিশ তার প্রাথমিক তদন্তে চৌদ্দজনের নাম দিয়ে আদালতে মামলা করে । এই মামলায় চৌদ্দজন অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম খোদ টিসিএর যুগ্ম সচিব । আদালত সূত্রে খবর , চৌদ্দজনের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকি এগারোজন জামিন নিয়ে জেলযাত্রা আপাতত আটকে দিতে পেরেছেন । আগামী ছয় সেপ্টেম্বর এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি রয়েছে । ক্রিকেট মহলের বক্তব্য , টিসিএ বা বিসিসিআই কেন , সম্ভবত বিশ্বের কোনও ক্রিকেট সংস্থায় আক্রমণ , তার কর্মীদের উপর প্রাণঘাতী হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই ক্রিকেট সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন নেই । ক্রিকেট মহলের দাবি , যেহেতু এটি একটি ফৌজদারি মামলা এবং মামলায় টিসিএর যুগ্ম সচিব অন্যতম অভিযুক্ত তাই মামলায় তিনি যতদিন না নির্দোষ প্রমাণিত হন ততোদিন নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে তার উচিত টিসিএর সম্মানজনক পদ ছেড়ে দেওয়া । তবে ঘটনা হচ্ছে , এ দেশের রাজনীতিতে ন্যায়নীতি কতজন আর পালন করেন ।