১৪ হাজার পিএম শ্রী স্কুল মঞ্জুর ২৭,৩৬০ কোটি টাকা
সবার কাছে শিক্ষার সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রতিটি ব্লকে আদর্শ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে । দেশের ১৪,০০০ স্কুলকে মোট তিন ধাপে আদর্শ স্কুলে উন্নীত করার এই প্রয়াস শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই । কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের আধিকারিকগণ জানিয়েছেন দৃষ্টান্তমূলক স্কুল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এই স্কুলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে । নির্বাচন এবং পর্যবেক্ষণের জন্য প্রথমে স্কুলগুলোকে জিও ট্যাগ করা হবে এবং গোটা প্রক্রিয়াটির তত্ত্বাবধানে থাকবে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি । কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ২৭,৩৬০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে । প্রধানমন্ত্রী শ্রী স্কুল যোজনায় ১৮.৭ লক্ষ ছাত্রছত্রী উপকৃত হবে বলে জানা গেছে । এই স্কুলগুলো চালিত হবে প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে । জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে এই স্কুলগুলোকে ধাপে ধাপে সবুজবান্ধব স্কুল হিসেবে গড়ে তোলা হবে । সেগুলোতে থাকবে সৌরশক্তি ব্যবস্থা , এলইডি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা , প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি সহ পুষ্টিকর বাগান , বর্জ্য ব্যবস্থাপনা , প্লাস্টিক মুক্তি পরিবেশ , জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং চাষাবাদের ব্যবস্থা । পরিবেশ , জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানসম্পন্ন জীবনযাত্রার সাথে সাযুজ্য রেখে এই স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হবে প্রচলিত রীতিনীতি , আচার ও অনুষ্ঠানের উপর সম্যক ধারণা । গুজরাটের স্কুলগুলোর কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টার বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রকে ব্যবহার করা হবে প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী শ্রী স্কুলের পারফরম্যান্স যাচাই করে দেখার জন্য । এমনকি শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কতটুকু উন্নতি হচ্ছে সেটাও নজরে রাখা হবে । সরাসরি অনুদান মিলবে ওই স্কুলগুলোর । এই প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক , মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক সকল স্তরের স্কুলকেই বেছে নেওয়া হবে । তবে পিএম শ্রী স্কুল হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে স্কুলগুলোকে অনলাইন পোর্টালে নিজস্বভাবে আবেদন করতে হবে । এই পোর্টাল খোলা হবে বছরে চারবার । প্রকল্পের প্রথম দুই বছরে এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে । তবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে স্কুলগুলোকে বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে হবে । একটি চ্যালেঞ্জিং মুডের মাধ্যমে স্কুলগুলোকে একে অপরের সঙ্গে টক্কর দিয়ে নির্বাচিত হতে হবে । শর্ত পূরণের বিষয়টিকে সিলমোহর দেবে রাজ্যগুলো , কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন এবং নবোদয় বিদ্যালয় সমিতি । সশরীরে স্কুলগুলোতে উপস্থিত হয়ে সরকারী প্রতিনিধিগণ শর্ত পূরণের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন । যেমন স্কুলগুলোতে থাকতে হবে পাকা বিল্ডিং , উন্মুক্ত চলাফেরার ব্যবস্থা , ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা শৌচাগার , পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা , বিদ্যুৎ সংযোগ ইত্যাদি ইত্যাদি । প্রসঙ্গত , ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের ঘোষণা দেন । বর্তমান স্কুলগুলোরে উন্নতিকরণ ও আধুনিকীকরণ করে এক আদর্শ শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য । খেলাধুলা , খেলনা সামগ্রী , সমন্বিত , উদ্ভাবনমূলক এবং সহযোগিতার পরিবেশ , অনুসন্ধানমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ , আলোচনাকেন্দ্রিক , খোলামেলা এবং মজাদার শিক্ষণ পদ্ধতি হবে এই স্কুলগুলোর বৈশিষ্ট্যতা । এই কথা জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ।