চাকুরিচ্যুতদের জয়েনিং বেআইনি, আদালতের নির্দেশের অবমাননা

 চাকুরিচ্যুতদের জয়েনিং বেআইনি, আদালতের নির্দেশের অবমাননা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পুনরায় নিজ নিজ স্কুলে গিয়ে জয়েনিং করার ঘোষণা আন্দোলন ইস্যুতে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । ওই নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে , একাংশ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের এই উদ্যোগ সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অবমাননা । শিক্ষা দপ্তর থেকে জারি করা নির্দেশে আরও বলা হয়েছে , রাজ্য সরকার হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশ যথাযথভাবে পালন করতে বাধ্য । রাজ্য সরকার আদালতের আদেশ অমান্য করতে পারে না । ফলে কোনও চাকরিচ্যুত শিক্ষককেই বিদ্যালয়ে পুনরায় জয়েনিং করতে এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার অনুমতি ও অনুমোদন দিতে পারে না রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তর । শিক্ষা দপ্তর থেকে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে , সম্প্রতি শিক্ষা দপ্তরের নজরে এসেছে যে সুপ্রিম কোর্টের একটি আরটিআই – কে ভিত্তি করে একাংশ চাকরিচ্যুত শিক্ষক বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন । জোর করে স্কুলে জয়েন করার জন্য এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন । প্রধান শিক্ষকদের এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা আধিকারিকদের অনৈতিকভাবে ঘেরাও করে রাখছেন । স্কুলে জয়েন করার জন্য আবেদন রাখার জন্য চাপ দিচ্ছেন । এ ব্যাপারে শিক্ষা দপ্তর থেকে বলা হয়েছে , তন্ময় নাথ অ্যাণ্ড অন্যান্যদের দায়ের করা মামলায় শিক্ষকরা পক্ষভুক্ত কিনা ? তা ইতিমধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে । বিজয় কৃষ্ণ সাহা ও অন্যান্যদের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের গত ৩ অক্টোবর ২০১৯ ইং আদেশে । মামলা _WP ( C ) 1040 / 2019 / । পরবর্তী সময় অজয় দেববর্মা ও অন্যান্যদের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলা নম্বর SLP ( C ) No. 1298/2020 , Judgment & order dated 05.08.20201 সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের স্পষ্ট আদেশ হচ্ছে ‘ In our view . considering the facrt that the very selection and appointments were found to be illegal and invalid . No other advantage can be conferred upon the concerned candidates। পিজিটি এবং জিটি শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ২০১০ সালে , ইউজিটি শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ২০১৩-১৪ সালে । গত ৭ মে ২০১৪ ইং হাইকোর্টের রায়ে এই চাকরি বাতিল হয় । ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ছিলো মেয়াদ । এরপর রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ৬ মাসের জন্য অ্যাড হক বেসিসে চাকরি করার অনুমোদন দেয় । পরবর্তীকালে বর্তমান সরকারের আবেদনমূলে সুপ্রিম কোর্ট আরও দুই বছর অ্যাড হকের মেয়াদ বৃদ্ধি করে । সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ৩১ মার্চ ২০২০ ইং শিক্ষা দপ্তর থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে , হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং নির্দেশের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই । রাজ্য সরকার আদেশ মানতে এবং যথাযথভাবে পালন করতে বাধ্য । ফলে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পুনরায় জয়েনিং করার বিষয়টি আদালতের আদেশের অবমাননা ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.