১৫ তারিখের পর টিসিএর বর্তমান কমিটি পুরোপুরি অবৈধ

 ১৫ তারিখের পর টিসিএর বর্তমান কমিটি পুরোপুরি অবৈধ
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

কৌশলে নিজেদের ক্ষমতার মেয়াদ আরও কয়েকমাস বাড়িয়ে নিতে আগামীকাল টিসিএর বর্তমান কমিটি তাদের নির্দিষ্ট সময়ের নির্বাচন স্থগিত রাখতে বিশেষ সাধারণ সভায় যাচ্ছে যদি এই বিশেষ সাধারণ সভা নিয়ে পত্রপত্রিকায় কোনও বিজ্ঞপ্তি দেয়নি টিসিএ । তবে সদস্যদের কাছে বৈঠকের নোটিশ পাঠানো হয়েছে । আগামীকাল এগারো সেপ্টেম্বর বেলা বারোটায় এমবিবি স্টেডিয়ামের ক্লাব হাউসে হবে এই বিশেষ সাধারণ সভা ।জানা গেছে,এই বিশেষ সাধারণ সভায় নাকি একমাত্র আলোচ্যসূচি হলো টিসিএর নির্ধারিত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া । তবে টিসিএর বর্তমান কমিটি যে পদ্ধতিতে এবং যে ইস্যুতে তাদের নির্ধারিত নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে তা কতটা আইনি তা সময় বলবে । কেননা , টিসিএর যে সংবিধান তাতে কিন্তু কোনও কমিটির তিন বছরের বেশি একদিনও ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই । সুতরাং পনেরো সেপ্টেম্বরের পর কোনও যুক্তিতেই টিসিএর বর্তমান কমিটি ক্ষমতায় থাকতে পারে না । এছাড়া , বড় প্রশ্ন টিসিএতে তো কুলিং অফ – এর কোনও সমস্যা বা ইস্যু নেই । তাহলে টিসিএ কোন্ যুক্তিতে নির্বাচনে যাচ্ছে না ? জানা গেছে , বিসিসিআইর মামলার কথা বলে টিসিএ যে পদ্ধতিতে তাদের নির্ধারিত নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চলছে তা নাকি আইন মেনে হচ্ছে না । প্রথমত , টিসিএর সংবিধানে স্পষ্ট যে , কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর । এখানে দ্বতীয় কোনও অপশন নেই । দ্বিতীয়ত , টিসিএর সংবিধানে আছে একুশদিনের নোটিশ দিয়ে সাধারণ সভা ডেকে নির্বাচন করতে হবে । সুতরাং স্পষ্ট যে , নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমপক্ষে একুশদিনের নোটিশ দিয়ে । কিন্তু টিসিএর তরফে যে নোটিশ সদস্যদের দেওয়া হয়েছে তা ইস্যু করা হয়েছে ত্রিশ আগষ্ট । যেখানে পনেরো ‘ সেপ্টেম্বর কমিটির মেয়াদ শেষ সেখানে পনেরোদিন আগে নোটিশ অবৈধ । কেননা , কমপক্ষে একুশদিন আগে নোটিশ ইস্যু করে নির্বাচন পিছানোর কথা । যদিও বিশেষ সাধারণ সভা দশদিনের নোটিশে হতে পারে । কিন্তু এখানে মূল ইস্যু হচ্ছে নির্বাচন । আর নির্বাচন পিছানোর জন্য এগারোদিনের নোটিশ বৈধ নয় । জানা গেছে , আগামীকালের বৈঠকে টিসিএর বর্তমান কমিটির নির্বাচন পিছানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে । পাশাপাশি দাবি উঠতে পারে বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে কোনও অ্যাডহক কমিটি গঠনের । কেননা , টিসিএর সংবিধানে স্পষ্ট যে , একটি কমিটি তিন বছরের । টিসিএর একজন সদস্য বলেন , কোনও আদালতের নির্দেশ ছাড়া টিসিএর বর্তমান কমিটির কোনও অধিকার নেই পনেরো তারিখের পর একদিনও ক্ষমতায় থাকা । বিসিসিআইর পরামর্শ বা সিএবির চিঠিতে কোনও আইনি সিলমোহর নেই । টিসিএর উচিত ছিল উচ্চ আদালত থেকে শীর্ষ আদালতে বিসিসিআইর মামলার প্রসঙ্গ এনে টিসিএর নির্বাচন পিছানো । কিন্তু তা করা হয়নি । আর বিশেষ সাধারণ সভায় সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনা যায় কিন্তু তা অনুমোদন না করে সংবিধানের কোনও ধারা বদল করা যায় না । সুতরাং যতক্ষণ না পর্যন্ত আদালত কোনও নির্দেশ দিচ্ছে ততক্ষণ পনেরো তারিখের পর টিসিএর বর্তমান কমিটি পুরোপুরি অবৈধ । দাবি আইন বিশেষজ্ঞদের ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.