রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
পুজোয় এবার ইলিশ!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি,বাংলাদেশ।। শুরু হয়ে গেছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব। আর উৎসব মানেই পেট পুরে খাওয়া দাওয়া।সেই আয়োজনে যদি রুপালি ইলিশ থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। প্রবাদই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। সেখানে যদি মাছের রাজা ইলিশ থাকে, তখন আনন্দ এবং তৃপ্তি দুটোই বেড়ে যায় কয়েক গুন। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আগরতলায় আসা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে আগরতলায় এসেছে দুই হাজার পাঁচশো কেজি ইলিশ। চলতি সপ্তাহে আখাউড়া দিয়ে আরো একাধিক ইলিশের চালান আগরতলায় আসার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা বলছেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা আছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হলেও আগরতলায় ইলিশ যাচ্ছে অনেকটা শেষ সময়ে। তবে এর আগে চলতি মাসের বারো তারিখ থেকে চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে উত্তর ত্রিপুরায় ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। একাধিক চালানে কৈলাশহরে গেছে প্রায় বারো হাজার কেজি ইলিশ।
আগরতলার আমদানিকারক বিমল রায় দৈনিক সংবাদকে বলেছেন, প্রতি কেজি মাছ দশ ডলারে কেনা হয়েছে। এই মুহুর্তে বাজার মূল্য বেশি হলেও কম লাভেই ত্রিপুরার মানুষকে ইলিশের স্বাদ দিতে চাইছে তার প্রতিষ্ঠান।
সূত্রের তথ্য, এবার ভারতে যাচ্ছে দুই হাজার নয়শো পঞ্চাশ টন রুপালী ইলিশ। এর বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গের বাজারে যাবে। তবে আগরতলার বাজারে অনেকটা দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে ইলিশ যাওয়া।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার যাত্রাবাড়ির ফিস বাজার। এই প্রতিষ্ঠান পঞ্চাশ হাজার কেজি ইশিল মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। আখাউড়া খলিফা এন্টারপ্রাইজ এর সিএন্ডএফ এজেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি শাহনোয়াজ মিয়া দৈনিক সংবাদকে বলেছেন, আগরতলায় ইলিশের চাহিদা রয়েছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা চাইলে আরো মাছ পাঠানো যাবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ত্রিশ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি সুযোগ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে পারবেন।