রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
রাজ্যসভার সাংসদ পদে জয়ী বিপ্লব
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি, আগরতলা।। প্রত্যাশিত ভাবেই রাজ্যসভার সাংসদ পদে জয়ী হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি পেয়েছেন ৪৩ টি ভোট। তাঁর প্রতিপক্ষ সিপিআইএম প্রার্থী ভানুলাল সাহা পেয়েছেন ১৫ ভোট। নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যসভার একটি আসনে উপ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর,ভোট গননা হয়। শাসক দল বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের জয় নিশ্চিতই ছিল। বর্তমান বিধানসভায় শাসক বিজেপির বিধায়ক আছেন ৩৬ জন এবং শরীক দল আই পি এফ টি’র বিধায়ক আছেন ৭ জন। মোট ৪৩ জন বিধায়ক প্রত্যেকেই বিপ্লব কুমার দেবকে ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস দলের একমাত্র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ভোট দানে বিরত ছিলেন।
অপর দিকে সিপিআইএম বিধায়ক আছেন ১৫ জন। তারা তাদের দলীয় প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন।
এদিকে, রাজ্যসভার ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে আচমকাই নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। কেননা, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস -সিপিএমের জোট গঠন নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন আচমকা আসরে অবতীর্ণ হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। তিনি রাজ্যসভার ভোটের আগের দিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দলের একমাত্র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন কে চিঠি দিয়ে ভোট দানে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। এর পরই কংগ্রেস -সিপিএম জোটের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। রাজনৈতিক মহলের মতে,সুদীপ বাবু রাজ্যসভায় ভোট দিতে গেলে কাকে ভোট দিতেন, তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল।
তিনি বাম প্রার্থীকেই ভোট দিতেন। এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।
সুদীপ বাবু এই রাজ্য থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে প্রকাশ্যেই বিজেপি বিরোধী সব দলকে একজোট হওয়ার আহবান জানিয়ে সাওয়াল করে চলেছেন। বুধবারও একটি দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সিপিএম কে কংগ্রেসের সাথে আসার জন্য বলেন। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের একার পক্ষে বিজেপি কে হারানো সম্ভব হবে না। তাই সিপিএম কে কংগ্রেসের সাথে আসার আহবান জানান। মঞ্চে তখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা সহ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা অজয় কুমার এবং প্রায় সব নেতারাই ছিলেন। কিন্তু রাতেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা রাতেই চিঠি দেন সুদীপ রায় বর্মনকে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই গুঞ্জন শুরু হয়। কট্টর বাম বিরোধী বীরজিৎ সিনহা দলের দুঃসময়েও দল ছেড়ে যাননি। দলের পতাকা আগলে রেখেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, বীরজিৎ বাবুর,সেই সাথে কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে জোট সমীকরণের সম্ভাবনা ধাক্কা খাবে। কংগ্রেস আগে থেকেই একটি বার্তা দিয়ে রাকলো বলে মনে করা হচ্ছে।
অপরদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বিজেপি দলে এবং সংগঠনে যে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইতিমধ্যেই তার ইঙ্গিত পাওয়া শুরু হয়ে গেছে। সামনে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই ভোটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সদ্য বিধায়ক থেকে সাংসদ হওয়া বিপ্লব বাবু কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এখন সেটাই দেখার।