রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
১০৩২৩ ইস্যুতে ফের সরগরম বিধানসভা
দ্বাদশ বিধানসভার দ্বাদশ অধিবেশনে শেষ দিনেও ১০,৩২৩ ইস্যুতে বিতর্ক হয়েছে । কিন্তু সেই বিতর্কে ফের একবার নিশানা হতে হলো বিরোধী সদস্যদের । এদিন বিধানসভার শূন্যকালে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারকে কিছু করার দাবি জানান । তিনি বলেন , সরকার যদি চায় তাহলে কি কিছু করতে পারে না ? একশ শতাংশ পারে । শুধু তাই নয় , আজকে ১০,৩২৩ তৈরি হওয়ার পিছনে তৎকালীন বাম সরকারের পাশাপাশি সুদীপবাবুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে । সোমবার বিধানসভায় সুদীপ বাবু তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগও খণ্ডন করার চেষ্টা করেন । তিনি বলেন , আমি তখনও সতর্ক করেছিলাম সরকারকে যে টেট ছাড়া নিও না । এছাড়া আর কিছুই নয় । জবাব দিতে উঠে , শিক্ষামন্ত্রী সুদীপ বাবুকে আকারে ইঙ্গিতে যেমন নিশানা করেন , তেমনি ১০,৩২৩ নিয়ে বর্তমান সরকার কি কি করেছে তাও তুলে ধরেন । আগামী দিনে সরকার কি করতে চায় তাও ব্যাখ্যা করেন । রতন বাবু বলেন , ১০,৩২৩ সংখ্যাটা বলা হলেও , এই সংখ্যা এখন আর নেই । যেটা বড়জোর আট হাজার হবে । এর মধ্যে সবাই জেআরবিটিতে অংশ নিয়েছে । জেআরবিটির ফলাফল এর মধ্যেই বেরোবে । এর পরেও সরকার তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্নভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । এর মধ্যেই রতন বাবুর মুখে উঠে আসে ‘ নতুন বন্ধু’র প্রসঙ্গ । ‘ নতুন বন্ধু ’ কথা শুনেই সুদীপ বাবুর পাশে বসা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী তখন মুচকি হাসছিলেন । তপনবাবু হাসি দেখে শিক্ষামন্ত্রী টিপ্পনি করে বলেন , ‘ হাসবেন না- আপনার জন্যই এই অবস্থা । সে যাই হোক , শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য শুনে বিধানসভার প্রথমার্ধে ১০,৩২৩ ইস্যু শেষ হয়ে যায় । কিন্তু ফের বিতর্ক তৈরি হয় দ্বিতীয়ার্ধ্বে । ১০,৩২৩ শিক্ষকের একাংশের বিধানসভা অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশ জল কামান , কাঁদানে গ্যাস , লাঠিচার্জ করে । বিধানসভার দ্বিতীয়ার্ধ্বে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন , ‘ রাজ্যে হচ্ছেটা কি ? সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে । শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বানচাল করতে শক্তি প্রয়োগ করছে । আজকে যেটা হয়েছে আমি তার নিন্দাই করছি । মুখ্যমন্ত্রী কি শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে পারেন না ? রাজ্যকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ? আমি তো জানতামই না ওরা যে বিধানসভা অভিযান করছে ‘ । বিরোধী নেতার এই বক্তব্যে যেন আগুনে ঘৃতাহুতি হয় । মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহা জবাব দিতে উঠে বলেন , অনেকবার ওদের সাথে কথা বলা হয়েছে । অনেক বোঝানো হয়েছে । একই কথা আর কতবার বলতে হবে ? কী কথা বলবো ? একই কথা তো । তাছাড়া আপনি যেটা বলছেন , বিষয়টা এমন নয় । বিধানসভায়ও এই ইস্যুতে অনেক কথা হয়েছে । এরপরই মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সাহা বিরোধীনেতাকে নিশানা করেন , বলেন আপনি অভিজ্ঞ । কুড়ি বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । আপনি কি করেছিলেন টিএমসিতে আন্দোলন কিভাবে দমন করেছিলেন । এরপর মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী , শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ , বিধায়ক ডা . দিলীপ দাস বিরোধী দল নেতাকে একযোগে চেপে ধরেন । সুশান্ত চৌধুরী বলেন , আপনার জমানায় কয়টি আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছেন ? রতনলাল নাথ বলেন , মনে হয় এই রাজ্যে প্রথম হয়েছে ? ট্রেজারি বেঞ্চের আক্রমণের মুখে শেষে চুপ করে যান বিরোধী নেতা । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , আপিন যখন বলছেন , অবশ্যই শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলবো ।