৩.৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের রিপোর্ট টিসিএ থেকে গায়েবের অভিযোগ

 ৩.৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের রিপোর্ট টিসিএ থেকে গায়েবের অভিযোগ
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বাম আমলে টিসিএতে প্রায় ৩.৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত একটি গোপন রিপোর্ট রাম আমলে টিসিএ থেকেই গায়েব বা উধাও করে দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। বিদায়ের আগে টিসিএর মেয়াদ উত্তীর্ণ বর্তমান কমিটির কয়েকজন সদস্যই বিষয়টি নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। তারা দাবি তুলেছেন যে, তপন কুমার লোধ, কিশোর কুমার দাসরা ক্ষমতায় থেকে এই বিশাল আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত রিপোর্ট গায়েব করা বা হাপিজ করে দেওয়ার ঘটনায় যখন কোনও তদন্ত করেননি তখন টিসিএর নতুন কমিটিকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। নতুন কমিটি যেন দায়িত্ব নিয়েই বাম আমলে টিসিএর এই আর্থিক অনিয়মের সঠিক তদন্ত করেন।
প্রাপ্ত সংবাদে প্রকাশ, ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ডা. মানিক সাহা টিসিএর সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরই ঘোষণা করেছিলেন যে, শেষ পাঁচ বছরে টিসিএতে যে সমস্ত আর্থিক অনিয়ম বা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সে সমস্ত আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির নতুন করে অডিট হবে। যদি টিসিএতে কোনও অনিয়ম বা আর্থিক দুর্নীতি হয় তাহলে এতে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তারপরই সভাপতি ডা. মানিক সাহার নির্দেশে জনৈক কমল মল্লিককে টিসিএতে আনা হয়। তার উপর দায়িত্ব দেওয়া হয় বিগত পাঁচ বছরে টিসিএর বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন নিয়ম মেনে হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা এবং কোনও অনিয়ম হলে তা সামনে আনা। জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর টিসিএর বৈঠকে কমল মল্লিক একটি রিপোর্ট পেশ করেন। তাতে কমল সাহা সভাপতি এবং সৌরভ দাসগুপ্ত সচিব থাকাকালে টিসিএতে প্রায় ৩.৮ কোটি টাকার কাজ বা লেনদেন নিয়ম মেনে হয়নি। বলে দাবি করা হয়। বাম আমলে টিসিএর তৎকালীন যুগ্ম সচিব ওই সমস্ত আর্থিক লেনদেনের অনুমোদন ও বিল পাস দিয়েছিলেন বলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়।
জানা গেছে, ৬ নভেম্বর ২০২০ সালের বৈঠকে কমল মল্লিকের রিপোর্টে যখন ৩.৮ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের কথা বলা হয় তখন টিসিএর কয়েকজন সদস্য পুরো ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেন।
অভিযোগ, কমল মল্লিকের ৩.৮ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির রিপোর্টে টিসিএর প্রাক্তন যুগ্ম সচিবের নাম নাকি ছিল। পরবর্তী সময়ে নাকি টিসিএ থেকে ওই রিপোর্ট হাপিজ করে দেওয়া হয়েছে। টিসিএর কয়েকজন সদস্য দাবি করেন, টিসিএর বর্তমান কমিটির এক প্রভাবশালী কর্তার সাথে টিসিএর ওই অভিযুক্ত প্রাক্তন কর্তার নাকি গোপনে বোঝাপড়া হলেও হতে পারে। ইঙ্গিতটা অবশ্য টিসিএর যুগ্ম সচিব তথা ইনচার্জ সচিবের দিকেই। টিসিএর সদস্যরা বলেন, আমরা নিশ্চিত যে, টিসিএ থেকে বাম আমলের ৩.৮ কোটি টাকার দুর্নীতির রিপোর্ট সরানো বা গায়েব করার বিনিময়ে অন্য খেলা হয়েছে। আমরা তাই দাবি তুলছি যে, টিসিএর নতুন কমিটি যেন ওই আর্থিক দুর্নীতি বা অনিয়মের সঠিক তদন্ত করেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.