রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে অতভাষণ অটো দৌরা ছেলেখেলা করা হয়েছে: জিতেন
দেশের রাষ্ট্রপতির পদের গরিমা-মর্যাদাকে ধূলিসাৎ করেছে শাসক দল বিজেপি। শুধু তাই নয় রাজ্যে এনে দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে অসম্মানিত পর্যন্ত করে দিল শাসক দল। আগামী নির্বাচনের লক্ষ্যে শাসক দল বিজেপি সাড়ে চার বছরের ব্যর্থতা অপদার্থতা ঢাকবার জন্যে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে পর্যন্ত ছেলেখেলা করল। রাজনৈতিক স্বার্থে শাসক দলের এই অপকর্ম ও দেউলিয়াপনার জন্যে দেশব্যাপী ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে। বৃহস্পতিবার মেলারমাঠ রাজ্য কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই শাসক দল বিজেপির তীব্র সমালোচনা করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বিজেপি দল রাষ্ট্রপতির সফরকে নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার লক্ষ্যে কপট চেষ্টা চালিয়েছে। এরা এমএলএ হোস্টেলের উদ্বোধনের নামে এবং সড়ক উদ্বোধনের নামে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় নিল। এই এমএলএ হোস্টেল এখনও নির্মীয়মাণ। অন্যদিকে যে সড়ক পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার তৈরি করে গিয়েছে। এখন আবার নতুন করে এই সব প্রকল্পগুলি উদ্বোধন রাষ্ট্রপতি দিয়ে পুনরায় সূচনার নাটক করল বিজেপি। তবে এক্ষেত্রে দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ার কোনও দোষ নেই। কারণ শাসক দল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতি পদের গরিমাকে ধূলিসাৎ করে রাজ্যের মানুষের সাথে প্রতারণার ফাঁদ তৈরির জন্যে এসব করেছে। যদিও রাজ্যের মানুষের কাছে শাসক দল বিজেপির সব ধরনের মিথ্যাচার ধরা পড়ে গিয়েছে। আজ আবার রেল পথের সূচনার নামে এরা ছেলেখেলা করেছে। বিজেপি দল রাষ্ট্রপতিকে এনে রাজ্যে নতুন কোনও প্রকল্পের উদ্বোধন নেই। উল্টো শুধুমাত্র মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে শাসক দল বিজেপির কপট উদ্দেশ্যে রাজ্যবাসীর কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন বিজেপির কাছে আর মাত্র ১৪৫ দিন সময় আছে। এরপর এদের বিদায় নিশ্চিত।
আগামী ২১ অক্টোবর রাজধানী আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে (আস্তাবল মাঠে) সমাবেশ করছে সিপিএম। এই সমাবেশ রাজ্যে মানুষ উপস্থিত হয়ে শাসক দলের পরাজয় আরও সুনিশ্চিত করবেন। বিরোধীদল এই সমাবেশের মাধ্যমে যারা এখনও বিজেপির মিথ্যাচার বুঝতে পারছেন না। তাদেরও সচেতন করা হবে। সারা দেশের কাছেও গত সাড়ে চার বছর ধরে বিজেপির অপশাসনে চলমান সন্ত্রাস, লুটপাট, সহ অরাজকতার চিত্র তুলে ধরা হবে। তার অভিযোগ, বিজেপি দলের পেটুয়া বাহিনীরা রাজ্যব্যাপী সরকারী কোষাগার লুটে নিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকবার জন্যে বিজ্ঞাপনের আড়ালে কোটি কোটি টাকা সাফ করে দিচ্ছে শাসক দল। মানুষের জীবন জীবিকার উপর ব্যাপক হামলা চলছে। এ বছরও পুজোতে তা রাজ্যের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। সাধারণ মানুষ সহ ব্যবসায়ীদের পর্যন্ত ন্যূনতম আয় নেন। কিন্তু এরপরও কার্নিভালের নামে জনগণের অর্থে তামাশা করেছে। যদিও রাজ্যে নিয়োগ বন্ধ পানীয় জল, সেচ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। কাজ নেই, খাদ্য নেই। গ্রাম পাহাড়ে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় হাহাকার চলছে। এডিসি এলাকায় নির্বাচিত ভিলেজ কমিটি নেই। পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, সিএনজি, এলপিজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। কারণ এই সরকারের কোনও অস্তিত্ব নেই বিজেপি দল রাজ্যে এখন শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনে বেঁচে আছে। তাই এরা এবার মানুষকে ঠকানোর জন্যে এবং প্রতারণা জন্যে নতুন ফাঁদ নিয়ে এসেছে। তবে এ দফায় শাসক দলের কোনও ফাঁদই কাজ হবে না। কারণ এদের সময় শেষ। এদিনও তিনি সকলকে রাজপথে নামার আহ্বান জানান ৷