বিধানসভায় একটাই প্রতীক সেটা হলো পদ্মচিহ্নঃ বিপ্লব
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি, বিলোনিয়া ২৫ অক্টোবর।। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই সরকার ত্রিপুরার মানুষের সাথে দাঁড়িয়েছে। মাতৃ পুষ্টি বন্ধনা যোজনা থেকে শুরু করে মৃত্যুকালীন সময়েও সহযোগিতা নিয়ে এ সরকার পাশে থাকে। এর নাম হচ্ছে বিজেপি সরকার। আগামী নির্বাচনে একটাই লক্ষ্য থাকবে পদ্মচিহ্ন। যদি কোন দ্বিধাদ্বন্দ থাকে নিজেদের মধ্যে, সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে সবাইকে একসাথে বিজেপি সরকার গঠনে কাজ করতে হবে। কে প্রার্থী পদ পেল ,কে পেল না এটা বড় কথা নয়। বড় হচ্ছে পদ্মচিহ্ন। সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত দলের সমস্ত কার্যকর্তা, পৃষ্ঠা প্রমুখ আপনারাই হচ্ছে আমাদের পরিচিতি। আপনারা না থাকলে আমি বিপ্লব দেব হতাম না। বিজেপির হয়ে আমাকে কেউ চিনত না । সাংগঠনিক এই বৈঠকের মঞ্চে যারা বসে আছেন, তাদের পরিচিতিও আপনাদের ব্যতীত অস্তিত্বহীন। বিজেপি একক ভাবেই বিধান সভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসছে। এটা নিশ্চিত। কদিন আগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সাংবাদিক বৈঠকে যে ব্যাখ্যা করেছেন, তাতে সিপিএম যে ক্ষমতায় আসছে না তা একশ শতাংশ আমরা নিশ্চিত।
তাদের এখন সহযোগী দল প্রয়োজন। একদিকে কংগ্রেস অন্যদিকে ত্রিপ্রা মথা। জোট তৈরি করতে চাইছে। সাড়ে চার বছরে সিপিএমের যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাদের এখন এককভাবে লড়ার ক্ষমতা নেই।এর আগেও ১৮ বিধানসভার নির্বাচনের সময় সিপিএম রাজ্যের ব্যাপক শোরগোল তুলেছিল ক্ষমতায় আসছে। এবারও নির্বাচনের এখনো পাঁচ মাস বাকি। একই কায়দায় শুরু করে দিয়েছে। মঙ্গলবার বিলোনীয়া মন্ডল আয়োজিত এক সাংগঠনিক বৈঠকে এই কথা গুলো বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার ৩৫ বিলোনিয়া মন্ডলের সাংগঠনিক বৈঠকে এসে রীতিমতো হুঙ্কার দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় কার্যকর্তা পৃষ্ঠা প্রমুখদের এখন থেকেই তৈরি হতে বললেন। দক্ষিণ জেলায় সাতটি বিধানসভার মধ্যে সাতটি যেন বিজেপির দখলে যায় তার জন্য দলের পৃষ্ঠা প্রমুখ নেতৃ স্থানীয় ও কার্যকর্তাদের আহ্বান জানালেন। সিপিএম আমলে দক্ষিণ জেলায় ৭০ টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সহ সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দল জোর প্রচার চালায় যে ক্ষমতায় এসে পড়ছে। এসে পড়ছে। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গঠন করছে একের পর এক রাজ্যে। বিপ্লব দেব বলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার ভাওতাবাজির সরকার নয়। এটা প্রমাণিত সরকার। কমিউনিস্টরা বলেন ভীশণ ডকুমেন্টে কি কি বলেছে। কি কি বাকি রয়েছে। নির্বাচনের সময় বামফ্রন্টের যে ইস্তেহার বের হয় তার মধ্যে দাবী থাকে। এটা লাগবে।সেটা লাগবে। বিজেপি জোট সরকার জমানায় ত্রিপুরায় অনেক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পুরস্কার পেয়েছে। সিপিএম আমলে রেগায় পুরস্কার পেলে বিশাল বড় করে দেখা হতো, মনে হয় যেন স্বর্ণ পেয়েছে। ত্রিপুরায় রোড বিল্ডিং তৈরিতে উত্তর পূর্ব অঞ্চলের মধ্যে পুরস্কার পেয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং, উচ্চ শিক্ষায়, ভালো কাজের জন্য পুরস্কার পেয়েছে। ত্রিপুরা এনআইটির প্রথম ব্যাচের ভালো প্যাকেজে চাকরি হয়েছে, বিমান থেকে শুরু করে রেল যোগাযোগ, জাতীয় সড়ক ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকা হয়েছে। মহিলাদের আত্ম সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। সিপিএম আমলে সহ সহায়ক দলের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার। বিজেপি জোট জমানায় তা বেরে হয়েছে ৩৬ হাজারের উপরে। জিবিপিতে হার্ট সার্জারি থেকে শুরু করে নিউরো সার্জারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগর গাছ কে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা রাজ্যে ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিজেপি জোট জমানায় বিদ্যাজোতি প্রকল্প থেকে শুরু করে এনসিইআরটি সিলেবাস, এফ সি আই এর মাধ্যমে ধান ক্রয়, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ রাজ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ লোক নতুন কর্মসংস্থান পেয়েছে। সাংগঠনিক বৈঠকে এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দলের সমস্ত কার্যকর্তাকদের প্রতি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই পদ্ম চিহ্ন কে লক্ষ্য করে কাজ করার আহ্বান জানান। সাংগঠনিক বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৩৫ বিলোনিয়া মন্ডল সভাপতি গৌতম সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি বিভীষণ চন্দ্র দাস, বিলোনিয়া পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন নিখিল চন্দ্রগোপ। এদিন পুরাতন টাউন হল ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ।