হাসপাতালে ফার্মেসি শপ, সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তো?
রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবি, আইজিএম সহ বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে শীঘ্রই চালু হবে ফার্মেসি শপ। এই ফার্মেসিগুলি থেকে রোগীরা খুব সস্তায় ওষুধ কিনতে পারবে। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ডা. দেবাশিস বসু। রাজ্যের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সরকার নানাভাবে কাজ করে চলেছে, যাতে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছেও স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছানো যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করেন স্বাস্থ্য সচিব শ্রীবসু। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়াও, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. শুভাশিস দেববর্মা জানান, ২০২২ সালে ত্রিপুরা হেল্থ সার্ভিস রুলস-এর ঊনিশতম সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত রুলস অনুযায়ী মেডিকেল অফিসার ক্যাডারের সংখ্যা ১৪৮০ থেকে বাড়িয়ে ২১৭০ করা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিকেল অফিসারদের স্পেশালিস্ট ক্যাডার এবং জেনারেল ডিউটি মেডিকেল অফিসার ক্যাডারে বিভক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, আইজিএম হাসপাতালে নবনির্মিত জি+৭ ভবনে চক্ষু ও প্যাথলজি বিভাগ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে ত্রিপুরা হেল্থ অ্যাসুরেন্স স্কিম ফর পুওর প্রকল্পের অধীনে ২৫ জন রোগী বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছেন। তাতে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়া কোভিড মোকাবিলার জন্য সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৩০ হাজার আরটিপিসিআর কীট এবং ৩০ হাজার আরএনএ নিষ্কাশন কীট সরবরাহের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হাসপাতালগুলিতে ন্যায্যমূল্যে ওষুধ সরবরাহ করার উদ্যোগ আদৌ বাস্তবে কার্যকরী হবে তো? কেননা, এমন বহু প্রকল্প ও উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বাস্তবে আর কার্যকরী হয়নি। কার্যকরী হলেও পরে চাপের মুখে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এমন উদাহরণ বহু রয়েছে। বিমানবন্দরের যাত্রীদের সুবিধার কত কিছুই তো চালু করা হয়েছিল। কিছুই তো শেষপর্যন্ত হলো না। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। এখন এসেছে সরকারী হাসপাতালে ওষুধ ফার্মেসি। যেখান থেকে রোগীরা সস্তায় ওষুধ ক্রয় করতে পারবেন। উদ্যোগ মহৎ, এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। ভারতবর্ষের বহু রাজ্যে এই ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এই রাজ্যে জনগণের কল্যাণে সেটা চালু করা যাবে তো? ওষুধ ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে সরকারের মুখ পুড়বে না তো? এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন ।