ক্যান্সার হাসপাতালের স্টোরে সাপ্লাই নিয়ে হয়রানি, কমিশন আদায়!
আগরতলা অটলবিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালের স্টোর বিভাগের বিরুদ্ধে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। যে সমস্ত ঠিকাদার সংস্থা দরপত্রে বরাত পেয়েছেন, তারা ওষুধ সহ নানা জিনিসপত্র ও যন্ত্রাংশ স্টোরে সাপ্লাই করতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়ছেন। কারণ যেসব সংস্থা দরপত্রে বরাত পেয়ে রোগীর চিকিৎসা পরিষেবায় ওষুধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত জিনিসপত্র ক্রয় করে এনে হাসপাতালের স্টোর অ্যান্ড পার্চেজ বিভাগে নিয়ে পৌঁছে দেয়, সেসব সংস্থার কাছ থেকে টাকা দাবি করে বসে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল স্টোরে এসব ওষুধ ও জিনিসপত্র রিসিভ করে পরে বিল বানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্টোর থেকে।
কিন্তু হাসপাতাল স্টোরের সঙ্গে যুক্ত একটি চক্র সেসব ওষুধপত্র ও অন্যান্য জিনিস স্টোরে রিসিভ করতে গিয়ে তাদের খুশি করার নামে নগদ অর্থ দাবি করে বসেন বলে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্টরা এই অভিযোগ করছেন। কারোর কাছে ১০ শতাংশ বা কারোর কাছে ২০ শতাংশ অর্থ প্রদান করার জন্য দাবি করে বসছে। সেই দাবিমতো অর্থ না দিলে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তাতে স্টোর থেকে বিল পাঠাতেও গড়িমসি করারও অভিযোগ উঠেছে। স্টোরে দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অসাধু কর্মচারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল স্টোরে কর্মরত থাকায় এসব অবৈধ কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও অভিযোগ। তবে এ বিষয়ে আগরতলা অটলবিহারী বাজপেয়ী ক্যান্সার হাসপাতালে সুপার ডা. শিরোমণি দেববর্মা জানান, তিনি আগে কখনও স্টোরের ব্যাপারে এ ধরনের অভিযোগ পাননি। এখন অভিযোগ আসায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করবেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলেও হাসপাতাল সুপার শ্রীদেববর্মা জানান। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যুক্তরা যদি এ ধরনের অভিযোগ থাকলে হাসপাতাল সুপার হিসাবে তার সঙ্গে দেখা করে যাতে বিস্তারিতভাবে জানান সেই আবেদন করছেন। তাহলে অভিযোগকারীর নাম ঠিকানা গোপন রাখা হবে বলেও হাসপাতাল সুপার জানান ।