অ্যান্টার্কটিকায় চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকায় একটি চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছে। অ্যান্টার্কটিকায় বরফের চাদরের নিচে লুকানো একটি বিশাল নদী খুঁজে পেয়েছেন তারা। হিমবাহের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অধ্যয়ন করা একদল বিজ্ঞানী সাম্প্রতিক একটি বায়ুবাহিত রাডার জরিপের সময় এ নদী সম্পর্কে জানতে পারেন। ন্যাচার জিওসায়েন্সে নদীটির নৌপথ এবং শাখা প্রশাখা নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লণ্ডন, কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়া তেরেঙ্গানু বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই আবিষ্কারটি করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীটি বরফের নিচে চারশ ষাট কিলোমিটার গভীরে প্রবাহিত হয়, যা লণ্ডনসহ দক্ষিণ ইংল্যাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত টেমস নদীর চেয়েও দীর্ঘ। হিমবিজ্ঞানীরা বলছেন, নদীর ওপরের হিমবাহী বরফ প্রবাহিত হওয়া এবং গলে যাওয়া নদীটির পথকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষণার একজন লেখক ইম্পেরিয়াল কলেজ লণ্ডনের হিমবিজ্ঞানী মার্টিন সিগার্ট বলেছেন, ‘যে অঞ্চলে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে সেখানে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠ চার দশমিত তিন মিটার বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট বরফ রয়েছে। এই বরফ কত দ্রুত এবং কতটুকু গলে তা বরফের তল কতটা পিচ্ছিল তার সঙ্গে সম্পর্কিত । নতুন আবিষ্কৃত এই নদী ব্যবস্থা এই প্রক্রিয়াকে দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বায়ুবাহিত রাডার জরিপ এবং জল প্রবাহের তথ্য একত্র করে এই আবিষ্কারটি করা হয়েছে। তারা ওয়েডেল সাগরে জল প্রবাহিত হওয়ার সঙ্গে অ্যান্টার্কটিকার পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্তের বরফসহ একটি বিশাল অঞ্চলে পরীক্ষা চালিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বরফের নিচে জল প্রবাহিত হওয়ার সত্য সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু এই নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে বরফ গলে নদী তৈরি হচ্ছে।
তারা বলছেন, মিঠা জলের এই চ্যানেলগুলো বরফ গলানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে, কারণ এতে হিমবাহের ভিত্তির স্থিতিশীলতা হ্রাস পায়। এখন বিজ্ঞানীরা এই নির্দিষ্ট অঞ্চলে ব্যবহৃত কৌশলগুলো ব্যবহার করে
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অন্যান্য অংশে হিমবাহ গলনের ওপর বরফের নিচে থাকা নদীর প্রভাব দেখতে চান।