অর্শ, ফিসচুলা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

 অর্শ, ফিসচুলা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অপ্রয়োজনীয় খাদ্যাভাস ও ত্রুটিপূর্ণ জীবনযাত্রা অসুস্থ হওয়ার প্রধান প্রতি কারণ। যার ফলে কোষ্ঠবদ্ধতা আসে এবং দীর্ঘদিন এভাবে চললে মলদ্বারে নানারকম রোগের সৃষ্টি হয়। যেমন অর্শ, ভগন্দর, ফিশার (মলদ্বারের চারদিকে ফেটে ফেটে যাওয়া) প্রভৃতি। সঠিক সময় চিকিৎসা না করলে ভবিষ্যতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
অৰ্শ কী?
দীর্ঘদিন কোষ্ঠবদ্ধতার কারণে বলপূর্বক মলত্যাগ করার অভ্যাস হলে মলদ্বারের ভেতর ও বাইরের রক্তবাহী সরু সরু শিরাফুলে যায় এবং তৎসন্নিহিত আবরক ঝিল্লী ফুলে ওঠে ও প্রদাহ হতে থাকে। কখনও তা থেকে রক্তস্রাব হয়, কখনও হয় না । একেই অর্শ বা পাইলস বলে।
ভগন্দর কী? মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে যে নালী ঘা হয় তাকে ভগন্দর বা ফিশচুলা বলে। প্রথমে ফুসকুড়ির ন মতো দেখা দেয়, তাতে কখনও কখনও যন্ত্রণা ও ফোলা থাকে, কখনও থাকে না, সামান্য পুঁজ বা রস বেরতে থাকে। কাদের এই সমস্যাগুলি বেশি হয়। বর্তমানে স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই এই রোগগুলি দেখা যাচ্ছে। সাধারণত ৩৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই রোগ ধরা পড়ে। মূলত শরীরচর্চার অভাব, শাকসব্জি, ফল কম খাওয়া ও সর্বোপরি ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড বেশি খাওয়ার কারণে এই রোগগুলি হচ্ছে। এমনকী একই কারণে অনেক অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা এই রোগের তা শিকার হচ্ছে।
লক্ষণগুলি হল : মলত্যাগে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় চাপা শব্দের সঙ্গে অল্প মল ও বায়ু নির্গত হয়। অত্যাধিক ঢেকুর তোলা। মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া।কোষ্ঠবদ্ধতা, মলাবরোধ, ক্ষুধামান্দ্য। রক্তহীনতা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা।
যা করা উচিত : গুরুপাক ও মশলাযুক্ত লবণাক্ত খাদ্য এবং গরম খাবার পরিত্যাগ
করা। অধিক আঁশযুক্ত খাদ্যগ্রহণ। প্রত্যহ কিছুটা হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা। তাজা ও সবুজ শাকসব্জি, ঘোল,আঙুর, পেয়ারা, শশা, গাজর, বেদানা ও অন্যান্য সহজপাচ্য খাদ্য দ্রব্য প্রত্যহ কিছু না কিছু গ্রহণ করা। মলদ্বার ও তৎসংলগ্ন স্থান পরিষ্কার রাখা।যা করা উচিত নয় : কোঁত দিয়ে পায়খানা করা উচিত নয়। কোষ্ঠবদ্ধতা যাতে না আসে, সেদিকে সতর্ক থাকা। অধিক মশলাযুক্ত খাদ্য গুরুপাক দ্রব্য খাওয়া যাবে না। অধিক সময় বসে থাকা, দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটা চলবে না । মলমূত্রাদির বেগ এলে আটকে রাখা চলবে না
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
হোমিও চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা। আমি যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি,সেগুলি
হল— সালফার, নাক্সভম, গ্রাফাইটিস, সাইলেসিয়া, হ্যামামেলিস, নাইট্রিকঅ্যাসিড, ক্যালফস, ক্যাল সালফ,মার্কসল প্রভৃতি।
তবে চিকিৎসক তার অভিজ্ঞতার আলোকে ওষুধ নির্বাচন করেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.