রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
সেতু নয়,যেন মরণফাঁদ!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। অমরপুর-অম্পিনগর ভায়া তেলিয়ামুড়া সড়কের রাঙ্গামাটি খেয়াঘাটস্হিত গোমতী নদীর উপরের পাকা সেতুটি খুবই বিপদজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চালকরা ওই পাকা সেতুর উপর দিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। সেতুর উপর এখনো বড়সড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। বাম আমলে অমরপুর পূর্ত দপ্তর একাধিক ঠিকেদার বদল করে একযুগেরও বেশী সময় ধরে নির্মান কাজ চালিয়ে এই সেতু নির্মাণ করছে। তৎকালিন সময়ে আঠারো কোটি টাকা ব্যয়ে ওই পাকা সেতুটি নির্মান করা হয়েছিল। সেতু নির্মাণ করার সময়েই ব্যপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিলো।
এই নিয়ে সে সময় দৈনিক সংবাদে বিস্তারিত সংবাদও প্রকাশ হয়েছিলো। তাছাড়া নির্মান কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না করেই ২০১৭ সালের শেষ দিকে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে ঘটা করে ওই পাকা সেতুটির উদ্বোধন করে জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পাঁচ বছর যেতে না যেতেই সেই পাকা সেতুর কংক্রিট উঠে কংঙ্কাল বেড়িয়ে এসেছে একাধিক জায়গায়। যার খেসারত গুনছেন ওই সেতুর উপর দিয়ে নিত্য যাতায়াতকারী যানবাহন চালক,নিত্যযাত্রী সহ রাঙ্গামাটি,বামপুর, দেববাড়ি, কাসকো, সরবং এলাকার আপামর জনসাধারণ। ওই পাকা সেতুটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ও মানুষের যাতায়াত শুরু হওয়ার বছর খানেক যেতে না যেতেই সেতুটির বিভিন্ন স্থানে হাড়গোর বেড়িয়ে আসতে শুরু করে। কংক্রিটের ঢালাই উঠে গিয়ে লোহার রড বেড়িয়ে এসে বিপদজ্জনক অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়।
অমরপুরের পূর্ত কর্তারা কয়েক বছর ধরে ওই সেতুটির রড বেড়িয়ে আসা স্থান গুলিতে সিমেন্ট বালির মিস্রন দিয়ে ক্ষত স্থানে মলম লাগিয়ে নিজেদের ব্যার্থতা আড়াল করার ব্যার্থ চেষ্টা করেছেন। সংস্কারের দিন কয়েক যেতে না যেতেই ফের পুর্বাবস্থায় ফিরে আসে পাকা সেতুটির বিভিন্ন অংশ । বিগত কয়েক বছর ধরেই অমরপুর- অম্পিনগর ভায়া তেলিয়ামুড়া সড়কটি রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব হস্তান্তরিত হয় বহিঃরাজ্যের নির্মান সংস্থা এন এইচ আই ডি সি এলের উপর। স্বাভাবিক ভাবেই ওই পাকা সেতুটির সংস্কারের দায়িত্বও সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির। তারাও ক্ষতস্হানে প্রলেপ দিয়ে হাড় গোড় ঢাকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ক’দিন যেতে না যেতেই আবার একই অবস্থা। বর্তমানেও ওই পাকা সেতুটির বিভিন্ন স্থানে কংক্রিটের ঢালাই উঠে গিয়ে আরসিসির রড বেড়িয়ে বিপদজ্জনক অবস্থা হয়ে আছে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন বাইসাইকেল আরোহী এবং বেশ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীকে দুর্ঘটনার কবলে পরতে হয়েছে। কিন্ত সেতুটির সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। ফলে ক্ষুব্দ সংশ্লিষ্ট সকলেই।