ত্রিপুরার ৭টি নতুন প্রকল্পের জন্য ১০,২২২ কোটি টাকার অনুমোদন
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করির পৌরোহিত্যে ১০ ও ১১ নভেম্বর ২০২২ ইং গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ কাজের অগ্ৰগতি নিয়ে বৈঠক। বৈঠকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়৷ এই পর্যালোচনা বৈঠকের পর, শ্রী গড়করি ত্রিপুরার জন্য নতুন ৭ টি প্রকল্পের অনুমোদনের কথা ঘোষণা করেন ৷ এই জন্য রাজ্যকে ১০,২২২ কোটি টাকা অনুমোদনের কথাও ঘোষণা করেন।
অনুমোদিত নতুন সাতটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে : চুরাইবাড়ি-আগরতলা এনএইচ-০৮ (১৭১ কিমি) চার লেন (৩,২৩৩ কোটি টাকা), আগরতলা বাইপাসের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় অংশ (৩৫ কিমি) (৩,১৬১ কোটি টাকা), খোয়াই- তেলিয়ামুড়া-অমরপুর-হরিনা এনএইচ ২০৮ (২,৪২১ কোটি টাকা), উদয়পুর-শ্রীমন্তপুর সড়কের চার লেনিং (৩৪ কিমি) (৪৮০ কোটি টাকা), চারটি রোপওয়ে প্রকল্প (মহারানী- ছবিমুড়া, উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির, জম্পুই হিলস, কমলপুরের সুরমাছড়া) (৬৯২ কোটি টাকা), তিনটি রেলওয়ে ওভারহেড ব্রিজ (৩৫ কোটি টাকা) এবং শহরাঞ্চলে সিমেন্ট কংক্রিট রাস্তা নির্মানে (২০০ কোটি টাকা)।
ত্রিপুরা রাজ্যে জাতীয় সড়কের কাজের অগ্ৰগতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) কে রাজ্যে চলমান ২৮০ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের কাজগুলি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন। একই সাথে তিনি রাজ্য সরকারকে প্রকল্পের অগ্রগতির স্বার্থে জমি অধিগ্রহণ, বনভূমির ছাড়পত্র, বিদ্যুৎ, জলের লাইনের স্থানান্তর ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল (ড.) ভি. কে. সিং, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব এবং পূর্ত দপ্তরের সচিব এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক ও , ভারত সরকার এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড- এর ঊর্ধ্বতন আধিকারিকগণ।
গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে, রাজ্যে ৪টি রোপওয়ের উন্নয়নের জন্য ত্রিপুরা সরকার এবং ন্যাশনাল হাইওয়েজ লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (NHLML)-এর মধ্যে সমঝোতাও স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
উল্লেখ্য, সড়ক উন্নয়নে নতুন সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে । এতে বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা। নতুন রোজগারের পথও যে সৃষ্টি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।