কংগ্রেস বার বার ব্যর্থ হয়েছে বলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলোঃ সুদীপ

 কংগ্রেস বার বার ব্যর্থ হয়েছে বলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলোঃ সুদীপ
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। ত্রিপুরার মাটি বাম বিরোধী। এরাজ্য বিজেপি দলের তেমন কোন সংঘটনই ছিলনা। নির্বাচনে কংগ্রেস বার বার ব্যর্থ হওয়ার কারনেই এই রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বামেদের হঠাতে রাজ্যের মানুষ এককাট্টা হয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। বক্তা কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি আরও বলেন, আমরা চোর তাড়িয়ে ডাকাতদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। রাজ্যে কাজ নেই,খাদ্য নেই। কাজ চাইলে পুলিশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে। যাকিছু নিয়োগ হচ্ছে, তাতেও লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণ চলছে । দিনের পর দিন রাজ্যে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুবকরা চরম হতাশাগ্রস্ত। নেশার কেবলে ডুবে যাচ্ছে রাজ্যের যুব সমাজ। তারপরেও কিচ্ছুটি বলা যাবেনা। প্রতিবাদ করলেই বাইক বাহিনীর আক্রমণের মুখে পরতে হচ্ছে।

শুক্রবার অমরপুর ও রাইমাভ্যালি কেন্দ্রে আয়োজিত দুটি যোগদান সভায় এই কথা গুলো বলেন সুদীপ বাবু।
এদিন দুই সভাতেই তিনি মানুষের উদ্দ্যেশে বলেন, বাইক বাহিনীর সংখ্যা মাত্র পঞ্চাশ। আর আপনারা হাজার হাজার। বেড়িয়ে পড়ুন,প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। দেখবেন গুন্ডা বাহিনী লেজ গুটিয়ে উধাও হয়ে গেছে। তিনি বলেন, দেশে কংগ্রেসই একমাত্র দল যে দল শুধু দেশের মানুষের কথা ভাবে। আর বিজেপির চাই শুধু ক্ষমতা। মোদী সাহেব ভোট নিয়ে ব্যাস্ত। বিজেপি নেতারা বিভেদের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। অপরদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দেশের ঐক্য সংহতি রক্ষায় কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে পায়ে হেটে চলেছেন। দেশের সম্প্রীতি রক্ষায়, অখন্ডতা রক্ষায় কংগ্রেসের লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

তিনি সবকিছু ভুলে সব্বাইকে কংগ্রেস দলে সামিল হয়ে কংগ্রেস দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।  ধর্মনগরের মতো অমরপুর সমাবেশেও বিধায়ক শ্রী রায় বর্মন আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন এরাজ্যের মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে চাই, যদি রাজ্যের মানুষ সুযোগ দেন। নতুবা ২০২৩ এর নির্বাচনই ওনার জীবনের শেষ নির্বাচন বলে সমাবেশে ঘোষনা করেন।  সমাবেশে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস পর্যবেক্ষক জারিতা লাইফ্ল্যাং,কংগ্রেস নেতা প্রাক্তন বিধায়ক আশিশ সাহা, প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি রাখু দাস প্রমুখ।  এদিনের  সভায় ৫৩ পরিবারের ১৬৭ ভোটার বিভিন্ন দল ত্যাগ করে কংগ্রেস দলে যোগদান করেন। উপস্থিত নেতৃত্বরা দলে নবাগতদের হাতে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরন করে নেন। দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা কংগ্রেস দলকে চাঙ্গা করতে চেষ্টায় খামতি রাখেন নি এদিন কংগ্রেসের নেতারা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.