প্রিপেইড পরিষেবা ঝুলে রইল বিমানবন্দরে, উড়ান স্বাভাবিক

 প্রিপেইড পরিষেবা ঝুলে রইল বিমানবন্দরে, উড়ান স্বাভাবিক
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে বন্ধ হয়ে থাকা প্রিপেইড পরিবহণ ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। এদিকে কলকাতা বিমানবন্দরে রানওয়ে সংস্কারের জন্য গত ৩০ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেই বিমানবন্দরে বিমান নামা উঠার ক্ষেত্রে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিছু বিধিনিষেধ চালু করায় যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তা মিটে গেছে।১৪ নভেম্বর থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আগের সূচি মতো সব বিমান সেই বিমানবন্দরে নামা উঠার অনুমতি চালু করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয়দিকে যাতায়াতে ৩০ অক্টোবর থেকে ১৫ দিনের জন্য অনেকগুলি বিমান উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যে জায়গায় কলকাতা থেকে প্রতিদিন ১১টি বিমান আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে সেই জায়গায় মাত্র ৫টি বিমান এই চালু ছিলো। আগরতলা থেকেও প্রতিদিন ১১টি বিমান কলকাতায় যেতো। সেই জায়গায় মাত্র ৫টি বিমান কলকাতায় যেত। ১৫ দিনের জন্য এই রুটে এতোগুলি বিমান তুলে নেওয়ায় এই সময়ে বিমান স্বল্পতায় যাতায়াতে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ে যান যাত্রীরা। প্রচণ্ড টিকিট সংকটে রুটের উভয়দিকে বহু যাত্রী আটকে পড়েন। সংকটাপন্ন রোগী থেকে শুরু করে জরুরি কাজে যাতায়াতেও বিমান টিকিট মিলছিলো না। যদি কোনও বিমানে টিকিট পাওয়াও যেতো, ভাড়া ছিলো যাত্রীর নাগালের বাইরে, অতি দুর্মূল্য।কলকাতা বিমানবন্দরে রানওয়ে সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ায় ১৪ নভেম্বর থেকে পুনরায় সব বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। এই রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে বিমান স্বল্পতায় ও টিকিট সংকটে যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিলো ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় তা মিটে গেছে। কিন্তু যেহেতু ১৫ দিন বিমান স্বল্পতার কারণে টিকিট সংকটে এই রুটের উভয়দিকে বহু যাত্রী আটকে গিয়েছিলেন এখন বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় সেইসব যাত্রী বিমান টিকিট নিয়ে যাতায়াত শুরু করেছেন তা বিমানে ভিড় রয়েছে। যাতায়াতে সব বিমানেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। এখন আর বিমান টিকিটের কোনও সংকট নেই। কিন্তু যেহেতু বিমানে ভিড় রয়েছে সেই কারণে কম মূল্যে এখনও টিকিট মিলছে না । বিমান ও বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে এই যাত্রীভিড় কয়েকদিনের মধ্যেই কমে যাবে। ভিড় কমে গেলেই বিমানের কম মূল্যের স্বল্প টিকিট মিলবে বলেও বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে। এদিকে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রিপেইড অটো ও ফোর হুইলার গাড়ির যাত্রী পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। বিমানবন্দরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিপেইড অটো ও ফোর হুইলার গাড়ির পরিষেবা চালু করেছিল রাজ্য সরকারের পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু অটো চালকরা আচমকা গত ১ অক্টোবর থেকে প্রিপেইড অটোর যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে সেদিন প্রিপেইড ফোর হুইলার গাড়ির পরিষেবাও বন্ধ করে দেয় চালকরা। গত ১ অক্টোবর সিএনজি গ্যাসের মূল্য এক লাফে অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই অটো চালকরা সেদিন থেকেই প্রিপেইড যাত্রী পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ করে দেন। চালকদের দাবি সিএনজি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রিপেইডে ভাড়াও বৃদ্ধি করতে হবে। তারপর দেড় মাস কেটে গেলেও এখনও পুনরায় বিমানবন্দরে প্রিপেইড অটো ও ফোর হুইলার যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হয়নি। পরিবহণ দপ্তর পুনরায় প্রিপেইড পরিষেবা চালু করার জন্য উচ্চ পর্যায়ে সরকারী লেভেলে বৈঠক করেছে। উচ্চ পর্যায়ে সরকারী কমিটি গঠন করেছে। অটো ও ফোর হুইলার গাড়ির চালক, মালিক ও সিণ্ডিকেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জট কাটাতে মহাকরণে বৈঠক করেছে পরিবহণ দপ্তর ও গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। কিন্তু তারপরও এখনও প্রিপেইড পরিষেবা চালু হয়নি । প্রিপেইড যাত্রী পরিবহণ পরিষেবা বিমানবন্দরে না থাকায় যাত্রীরাও বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ও গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অটো চালকদের সঙ্গে ভাড়ায় দর কষাকষিতে নাজেহাল হচ্ছেন বলে যাত্রীদের অভিযোগ। যাত্রীদের দাবি অতিসত্বর প্রিপেইড যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করা হোক। এদিকে মঙ্গলবার রাতে পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় জানান, রাজ্য সরকারের কাছে প্রিপেইড অটো ও ফোর হুইলার গাড়ির পরিষেবা চালু করার বিষয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী সিংহরায় জানান।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.