ছয়টি কলেজে চালু হল ইন্টিগ্রেটেড মাস্টার
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাজ্যের ছয়টি মহাবিদ্যালয়ে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ইন্টিগ্রেটেড মাস্টার ডিগ্রি কোর্সের ক্লাস শুরু হয়েছে। এ দিন রাজধানীর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে এই ডিগ্রি কোর্সের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। মহিলা বিদ্যালয় ছাড়াও বাকি পাঁচটি কলেজ হলো এমবিবি কলেজ, বিলোনীয়ার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়, উদয়পুরের নেতাজী সুভাষ মহাবিদ্যালয়, কৈলাসহরের রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় এবং ধর্মনগর সরকারী মহাবিদ্যালয়।
ছয়টি মহাবিদ্যালয়ে দুটি বিষয়ে ইন্টিগ্রেটেড মাস্টার ডিগ্রি কোর্সের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্যে উচ্চশিক্ষার আরও প্রসার ঘটছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বিস্তারিত খোলসা না করলেও বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চিন্তাভাবনা চলছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর সাথেও আলোচনা চলছে। বিভিন্ন মহল থেকেই এ দাবি উঠেছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।এদিকে, শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাম্প্রতিককালে রাজ্যে একাধিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠা(বিশ্ববিদ্যালয়) খোলার ক্ষেত্রে দেশের প্রতিষ্ঠিত বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির
মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে।
কামালঘাটে ইকফাই ইউনিভার্সিটি সফলভাবে চলছে। দক্ষিণ জেলায় বুদ্ধিষ্ট ইউনিভার্সিটি গড়ে উঠছে। জানা গেছে, বহি:রাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজ্যে ‘ত্রিপুরা স্কিল ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, উত্তর ত্রিপুরায় আইআরএ ইউনিভার্সিটি, জনজাতি এলাকায় কিরীট বিক্রম ইউনিভার্সিটি খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তর ওই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সম্মতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। নিজেরা জায়গা ক্রয় করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যদি ইউনিভার্সিটি গড়ে তুলতে চায় তাহলে রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তর সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
এছাড়াও বিধানসভায় আইন পাস করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টেকনো ইণ্ডিয়া গ্রুপও তুলাকোণায় তাদের নিজস্ব জায়গায় ইউনিভার্সিটি খুলতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রাজ্যে আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ইতিমধ্যে পথচলা শুরু করেছে। সে সাথে এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্যে এলে স্বাভাবিকভাবেই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রটি আরও দারুণভাবে প্রসারিত হবে। এতে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর ছাত্রছাত্রীরাও লাভবান হবে।