সূর্যের চেয়ে ৫৩০ গুণ বড় তারার মৃত্যু হয়েছিল ১১৫০ কোটি বছর আগে
মহাকাশে এমন সব মহাজাগতিক ঘটনা ঘটছে, যাকে বিস্ময়কর বললেও কম বলা হয়।একটি তারকাকে মরতে দেখা তেমনই এক ঘটনা।বিজ্ঞানীরা এক মৃত নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন। গবেষকরা সেই মৃত নক্ষত্রের ‘সুপারনোভা’র (মৃত নক্ষত্রের
নিভন্ত আভা) ছবি তুলেছেন। এই সংক্রান্ত একটি গবেষণা ‘দ্য নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।সেই মৃত নক্ষত্রের আভা এ বার নাসা-র হাবল টেলিস্কোপ থেকে ডেটা ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হবে।সেই সূত্রে পাওয়া যাবে ওই মৃত তারার প্রকৃত পরিমাপ। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সেই নক্ষত্রটি এত দূরে যে কোনও টেলিস্কোপ এর আকার সম্পর্কে সঠিক তথ্য অপারগ।ওই নক্ষত্রটি পৃথিবী থেকে ১১৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। সেটির মৃত্যুও হয়েছে প্রায় ১১৫০ কোটি বছর আগে। যার অর্থ গবেষকরা যে নক্ষত্রটিকে মরতে দেখেছেন সেটি ডায়নোসর যুগের আগে মারা গেছে। এই নক্ষত্রটি যে গ্যালাক্সির সঙ্গে সম্পর্কিত সেখানে কোটি কোটি উজ্জ্বল নক্ষত্র রয়েছে।তাদের দীপ্তির মাঝে এই আলো এখন পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে। গবেষকরা নক্ষত্রের উজ্জ্বলতার পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। গবেষকদের অনুমান, তারাটির উজ্জ্বলতা দেখে তারা এর পরিবর্তন এবং মৃত্যুর কারণ জানতে পারবেন। এই নক্ষত্রটি যে গ্যালাক্সির সঙ্গে সম্পর্কিত সেটি পৃথিবী থেকে ৪০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে হাজার হাজার গ্যালাক্সির একটি ক্লাস্টারের অংশ। ওই ক্লাস্টারের নাম ‘অ্যাবল-৩৭০১’।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই নক্ষত্র থেকে আসা আলোর আভা ক্লাস্টারের শত শত গ্যালাক্সিতে প্রতিহত হয়ে কিছুটা বাঁকা ভাবে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে। সেই আভা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জেনেছেন, বিস্ফোরণের পরেও তারাটি আট দিন ধরে প্রসারিত হতে থাকে। আলোর তিনটি ঝাপসা ছবির মাধ্যমে দেখা গেছে, সুপারনোভা ধীরে ধীরে শীতল হচ্ছে ।বিস্ফোরণের সময় এর তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ক্রমে ১০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।